জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহে মাঠে নেমেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ, কারিগরি ও মাদরাসাসহ দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের বীরগাথা লিখিত আকারে আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সেবা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জাবের মো. সোয়াইবের সই করা এক নির্দেশনায় বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী ঘটনা। শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশ নতুন সম্ভাবনার পথে যাত্রা শুরু করেছে। শহীদেরা শুধু শিক্ষার্থী ছিলেন না, তারা ছিলেন পরিবর্তনের মশালবাহী, গণতন্ত্রের সৈনিক। তাদের অবদান চিরকাল স্মরণীয় রাখতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবে (সরকারি গেজেট অনুযায়ী) শহীদ ও আহত শিক্ষার্থীদের ছবি ও তথ্যসহ সর্বোচ্চ দুই পাতার একটি প্রবন্ধ প্রস্তুত করে পাঠাতে হবে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান একটি কমিটি গঠন করে প্রবন্ধটি লিখে সম্পাদনা করবেন। হার্ডকপি পাঠানোর পাশাপাশি সফটকপি নিকস বাংলা ১৪ ফন্টে ই-মেইল করতে হবে apa@moedu.gov.bd ঠিকানায়।
একইসঙ্গে প্রবন্ধের সঙ্গে প্রমাণ হিসেবে প্রকাশিত সংবাদ, ছবি, সরকারি গেজেট বা অন্যান্য নথি যুক্ত করতে হবে। ই-মেইলে এসব প্রমাণের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করতে হবে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানপ্রধান, প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠতম শিক্ষক এবং প্রবন্ধ-সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরসহ প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সরকারি কলেজগুলোকে পৃথকভাবে চিঠি দিয়ে ১৪ আগস্টের মধ্যে ddgovtcollege@gmail.com ঠিকানায় সংশ্লিষ্ট তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
আর পুরো প্রক্রিয়ার ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব বদরুল হাসান লিটন। প্রয়োজনে তার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করারও অনুরোধ করা হয়েছে।
এমকে/টিকে