বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর দেওয়া ট্যাগ নিয়ে শিবির ব্যস্ত থাকবে বলে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা অহেতুক কাজে সময় নষ্ট করবো না। ছাত্রশিবির অন্যদের ট্যাগের জবাব দিয়ে সময় নষ্ট করবে না। আমরা আমাদের এজেন্ডা ছাত্রসমাজের সামনে উপস্থাপন করবো। প্রতিহিংসার রাজনীতির কবর দেওয়ার জন্য আবু সাঈদরা জীবন দিয়েছেন। এখানে সেই রাজনীতি মানুষ আর দেখতে চায় না।’
সোমবার (১১ আগস্ট) চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে এসএসসি/দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শিবির এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘মালয়েশিয়া সফরে গিয়ে এক ছাত্রনেতাকে জিজ্ঞেস করলাম-বক্তব্যে প্রতিপক্ষ নিয়ে কতক্ষণ বক্তব্য দেন? তিনি জবাব দিলেন, দশ মিনিট বক্তব্য দিলে দশ-ত্রিশ সেকেন্ড প্রতিপক্ষ নিয়ে, বাকি সাড়ে ৯ মিনিট নিজের এজেন্ডা নিয়ে কথা বলি। তাই বলবো, আমরা আমাদের কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাবো।”
শিবির সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো মানুষ পলিসি মেইক করলে এত দুর্দশা হতো না। মমতাজের মতো ব্যক্তি আমাদের আইন প্রণেতা। সংসদের গিয়ে গান শোনাতেন। গান গাইতে হলে শিল্পকলা আছে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেন। মানুষের কষ্টার্জিত টাকায় চলা সংসদে কেন?
ওবায়দুল কাদেরের মতো সাইকোপ্যাথ এই রাষ্ট্রের পলিসি মেইকার ছিল। হাসিনার মতো রক্তখেকো আমাদের রাষ্ট্র প্রধান ছিলেন! আমরা চাই আমাদের নেতারা হবেন দেশ প্রেমিক, সৎ। অর্থলোভী হবেন না। চেতনার কথা বলে বলে আমাদের অর্থনীতি ধ্বংস করা হয়েছে। এধরনের রাজনীতির কবর রচনা করতে ২৪ হয়েছে। আমরা আর কোনো ২৪ চাই না। আমরা আর কত রক্ত দেবো?’
সংবর্ধিত শিক্ষার্থীদের দেশ প্রেমিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সকল অপরাজনীতির এখানেই সমাপ্তি ঘটাতে হবে। আমরা আপনাদেরকে সৎ, দক্ষ, যোগ্য হয়ে দেশ গড়ার আহ্বান জানাই। আপনাদের হাতেই এদেশ নিরাপদ থাকবে। কোনো রক্তচক্ষু আর দেশে সম্পদ লুট করতে পারবে না, বিদেশে পাচার করতে পারবে না।’
জুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘বীর চট্টলা জুলাই অভ্যুত্থানে টার্নিং ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে মার্চ ফর জাস্টিস ছিল আমাদের জন্য টার্নিং পয়েন্ট। ১৬ জুলাই সারা দেশে ছয়জন শহীদ হয়েছিলেন। আর চট্টগ্রামে শান্ত, ওয়াসিম, ফারুক তিনজন শহীদ হয়েছিলেন।’
দক্ষিণ শিবিরের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন রনির সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাইমুনুল ইসলাম মামুনের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মহানগর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির পরিবেশবিদ নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মো. হায়দার আরিফ, চবি শিবির সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।