ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী যেকোনো দিন অভিনয় ছেড়ে দিতে পারেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তার এই মন্তব্যে চলচ্চিত্র জগতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। নিজের ব্যক্তিগত জীবন, পেশাজীবনের উত্থান-পতন, আর বর্তমান মানসিকতা নিয়ে অকপটে কথা বলেছেন তিনি।
ঋতাভরী জানান, জীবনে তিনি প্রায় সবকিছুই পেয়েছেন— যশ, খ্যাতি, অর্থ, বাড়ি, গাড়ি, এবং সফল অভিনয় জীবন। একজন কিশোরী বয়সে যখন তিনি অভিনয় শুরু করেন, তখন তার ধ্যানধারণা ছিল একেবারেই ভিন্ন। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে হিসেবে তার কাছে তখন পেশা ছিল শুধু জীবিকা নির্বাহের উপায়। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে গিয়ে এবং জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে তার মানসিকতায় অনেক পরিবর্তন এসেছে।
তিনি জানান, যখন তিনি কাজে আসেন তখন মানবিকতার উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে, তিনি উপলব্ধি করেছেন যে এই জগতে মানবিকতার অভাব রয়েছে। এই দিকটি তাকে গভীরভাবে আঘাত করেছে।
বর্তমানে ঋতাভরী নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছেন। ৩০ বছর বয়সের পর তিনি নিজের কাছে প্রশ্ন করেছেন, ‘এরপর কী?’ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই তিনি বুঝতে পারেন যে তার আর কোনো কিছুর প্রতিই লিপ্সা নেই। এখন তিনি পরিবারকে ভালোবাসার পাশাপাশি নিজেকে ভালোবাসতে শিখেছেন। তার কথায়, ‘কাজের জন্য আমি আর বাঁচি না। নিজের জন্য নিজে বাঁচতে শিখেছি।’
ঋতাভরীর মতে, তার সব স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তাই এখন তার প্রয়োজন সম্পূর্ণ হয়ে গেলে যেকোনো দিন তিনি অভিনয় ছেড়ে দিতে পারেন। তবে, এখনই যে তিনি অভিনয় ছাড়ছেন এমন কোনো নিশ্চিত খবর জানাননি। তার এই মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, তিনি পেশা থেকে দূরে সরে গিয়ে নিজের মতো করে জীবন কাটাতে চান।
এসএন