পাপ্পারাজি তাঁর এক্কেবারে নাপসন্দ! সে বলিউডের কোনও হাইপ্রোফাইল পার্টি হোক কিংবা বিমানবন্দর, ছবিশিকারিদের ক্যামেরার ঝলকানি দেখলেই তেড়েফুঁড়ে ওঠেন জয়া বচ্চন। শুধু তাই নয়, কটু কথাও শোনাতে ছাড়েন না প্রবীণ সপা সাংসদ। ‘ধন্যি মেয়ে’র এহেন তীক্ষ্ম মেজাজের জন্য বলিউড পাপারাজ্জিরা সবসময়েই তটস্থ থাকেন। তবে মঙ্গলবার দিল্লিতে বাংলা ও বাঙালি হেনস্তার প্রতিবাদে শামিল হওয়ার পর অমিতাভজায়ার যে রূপ দেখল প্রত্যক্ষদর্শীরা, সেটা আপাতত নেটপাড়ায় দাবানল গতিতে ভাইরাল।
মঙ্গলবার সকালে দিল্লিতে সংসদ ভবনের বাইরে তৃণমূলের প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন জয়া বচ্চন। দোলা সেন, মালা রায়দের পাশে দাঁড়িয়ে তিনিও স্লোগান তোলেন- ‘জাতীয় সঙ্গীতের অপমান দেশদ্রোহিতার সমান।’ পরনে লাল রঙের হ্যান্ডলুম শাড়ি। মাথায় রংমিলান্তি টুপি। সেখান থেকে বেরনোর পরই ঘটে বিপত্তিটা! জনৈক ব্যক্তির সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এক ব্যক্তি আচমকাই এসে জয়া বচ্চনের পাশে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে শুরু করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, ওই অনুরাগী প্রবীণ তারকা সাংসদের থেকে যথেষ্ট দূরত্বই বজায় রেখেছিলেন। তবুও তড়িৎগতিতে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে ওই ভক্তর বুকে সজোরে ঘুসি কষান জয়া বচ্চন। ঘটনার আকস্মিকতায় ওই ব্যক্তি নিজেও লজ্জা পেয়ে সরে যান। হাসিমুখেই জয়াকে ‘সরি’ বলেন এরপর। কিন্তু এতেও রাগ পড়েনি ধন্যি মেয়ের। তিনি পালটা ওই ব্যক্তিকে বকাবকি করেন। আর সেই ক্যামেরাবন্দি মুহূর্ত নেটপাড়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল। প্রবীণ অভিনেত্রীর নিন্দায় সরব নেটভুবনের একাংশ।
এই অবশ্য প্রথম নয় একাধিকবার এর আগে ফটোশিকারিদের উপর মেজাজ হারিয়েছেন জয়া বচ্চন। একবার তো বিমানবন্দরে জনৈক সাংবাদিককে পড়ে যেতে দেখে সোজাসাপটা বলেছিলেন, “বেশ হয়েছে। পড়ে গিয়েছে।” আরেকবার জলসার দিওয়ালি পার্টিতে আগত ফটোশিকারিদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। এবার অনুরাগীর বিনা অনুমতিতে সেলফি আবদারে বিরক্ত তিনি।
মঙ্গলবার দিল্লিতে বাঙালি হেনস্তার প্রতিবাদে যোগ দেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ তথা ‘বাংলার মেয়ে’ জয়া বচ্চন। কলকাতা দক্ষিণের সাংসদ মালা রায়ের সঙ্গে সামান্য কথা বলেই একটি পোস্টার হাতে নেন তিনি। তাতে লেখা ‘জাতীয় সঙ্গীতের অপমান দেশদ্রোহিতার সমান।’ বেশ কিছুক্ষণ সেই বিক্ষোভে ছিলেন জয়া।
এফপি/ এস এন