বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, ‘আমরা বারবার দেখেছি, এই আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে নানা কারণে, অজুহাত সৃষ্টি করে তাদের হাতকে শক্তিশালী করা হয়েছে। ১৯৮৬, এরপর ১৯৯৪, ১৯৯৫, ১৯৯৬ এবং ২৪-এর ৫ আগস্টের পর তাদের নানা বক্তব্য ও বিবৃতিতে আমাদের মনে হয়েছে জাতীয়তাবাদী শক্তিকেই টার্গেট করেছে আরেকটা গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি। তারা নানাভাবে কৌশল অবলম্বন করে ধর্মের নামে এসব কাজ করছে। সামনের নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে।
’
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর ৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে দোয়া ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী বলেন, পরাজিত ফ্যাসিবাদের দোসররা দেশে নেই, তারা পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে কালো টাকা ও অবৈধ অস্ত্রের জোরে নানাভাবে কাজ করছে। গণতান্ত্রিক শক্তি কোনো কর্মসূচি দিলেই তারা অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসে ষড়যন্ত্র করছে। চট্টগ্রামে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়েছে, রক্তাক্ত করা হয়েছে এমন পরিস্থিতি চলছে।
তবু গোটা জাতি প্রত্যাশা করছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছেন, শিডিউল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু মনে হচ্ছে, এই নির্বাচনকেও ঘিরে অনেকেই নানা ধরনের কূটকৌশল অবলম্বন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু প্রসঙ্গে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, তার মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না।
তিনি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একজন শহীদ। শেখ হাসিনার সরকারের অত্যাচারের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইয়েদুল আলম বাবুল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফৎ আলী সপু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ।
এফপি/এসএন