শেখ হাসিনা না পালালে আমাদের কবর রচনা হতো : হান্নান মাসউদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, শেখ হাসিনা না পালালে আমাদের কবর রচনা হতো। গণঅভ্যুত্থান সফল হয়েছে বলেই আমি আজ আপনাদের সামনে এসে কথা বলতে পারছি।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় নদী ভাঙ্গনকবলিত এলাকায় জিওব্যাগ ডাম্পিং কাজ পরিদর্শন শেষে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, আমি আপনাদের সন্তান।

আপনাদের কাছে কখনো ভোট চাইতে আসবো না। কখনো বলবো না আপনারা আমাকে ভোট দেন। আপনারা যদি আমার থেকে যোগ্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে পান, তবে তাকে সবাই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। এটাতে আমার কোনো আপত্তি নাই।

তিনি বলেন, আমি চাইবো অবহেলিত এই হাতিয়া দ্বীপের উন্নয়ন হোক। যিনি হাতিয়া দ্বীপের উন্নতি করতে পারবেন, আপনারা তাকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।

নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে না জড়ানোর জন্য উপস্থিত সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে মাসউদ বলেন, আপনারা সবাই আমার কাছে ওয়াদা করেন, নিজেরা নিজেদের মধ্যে কেউ হানাহানি-মারামারি করবেন না। বিএনপি-জামায়াত কিংবা এনসিপি যে যে দলই করুক, আমরা যদি নিজেরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করি, অরাজকতার সৃষ্টি করি, তাহলে সারা দেশের মানুষ আমাদের খারাপ ভাববে।

হাতিয়া দ্বীপের উন্নয়নের পরিকল্পনা জানিয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, আমি সরকারের কোনো মন্ত্রী-উপদেষ্টা কিংবা কোনো কিছুতেই নেই।

আমার বিশেষ কোনো ক্ষমতাও নেই। আপনারা যেমন আপনাদের সুখ-দুঃখের কথা আমার কাছে শেয়ার করেন, তেমনি আমিও আপনাদের সুখ দুঃখের কথাগুলো সরকারের সঙ্গে জড়িত যারা রয়েছেন তাদেরকে জানাই। তাদেরকে অনুরোধ করে আপনাদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প আনার চেষ্টা করি।

হান্নান মাসউদ আরো বলেন, আমার নিজের চাচা-খালারাও অসংখ্যবার নদী ভাঙনের শিকার হয়ে সবকিছু হারিয়েছেন।

নদী ভাঙনের কষ্ট আমি বুঝি। হাতিয়াতে বিনিয়োগের জন্য এ মাসের শেষের দিকে জাপান থেকে একটি টিম হাতিয়া পরিদর্শন করতে আসবে।

আমরা যদি ঠিকভাবে কাজ করার সুযোগ পাই, তবে আগামী ৫ বছরের মধ্যে হাতিয়া দ্বীপ সেন্টমার্টিন থেকেও সুন্দর হবে।

এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির নোয়াখালীর সংগঠক কাজী তানভীর, ইয়াছিন আরাফাত, মেহেদী হাসান সীমান্ত ও হাতিয়া উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী সামছল তিব্রিজ, ইউসুফ রেজাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এমআর/টিকে  

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ইংল্যান্ড দলে নতুন মুখ বেকার, সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক হওয়ার অপেক্ষায় বেথেল Aug 16, 2025
img
সুনামগঞ্জে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ জনের Aug 15, 2025
img
শেবাগের পর ধোনির বিরুদ্ধে ইরফানেরও দল থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ Aug 15, 2025
img
উৎসবমুখর পরিবেশে মানুষ ভোট দিতে প্রস্তুত : ফারুক-ই-আজম Aug 15, 2025
img
জাফলংয়ের পাথরের সন্ধান মিলল জৈন্তাপুরে Aug 15, 2025
img
রংপুরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার Aug 15, 2025
img
নেইমারের বাসায় বাজছে জুনায়েদ ইভানের গান Aug 15, 2025
img
সেরা ১৫ টেস্ট সিরিজের তালিকায় জায়গা পেল বাংলাদেশের দুই সিরিজ Aug 15, 2025
img
দেশব্যাপী প্রতিভা খোঁজে ‘নতুন কুঁড়ি’ ফিরিয়ে আনবে বিএনপি : আমিনুল Aug 15, 2025
img
মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো ৯৮ বাংলাদেশিকে Aug 15, 2025
img
স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার আন্দোলন: রনি, কাফিসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ Aug 15, 2025
img
মানিকগঞ্জে সাবেক এমপি মমতাজের পিএসসহ গ্রেপ্তার ৬ Aug 15, 2025
img
দেবকে কখনো ক্ষমা চাইতে হবে না : রুক্মিণী Aug 15, 2025
img
‘আমি গৃহবন্দি’, জেডআই খান পান্নার ফেসবুক পোস্ট Aug 15, 2025
img
দেশের মানুষের হৃদয়ে আওয়ামী লীগ, শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনা কখনো ছিল না: এ্যানি Aug 15, 2025
img
নেতা থেকে তিনি হয়ে উঠলেন স্বৈরাচার মুজিব : রিফাত Aug 15, 2025
‘শেখ মুজিবুর রহমান জাতির জনক না’ Aug 15, 2025
অযাচিত মুজিব বন্দনা ছিলো পতিত রেজিমের সবচেয়ে বড় অস্ত্র: মহিউদ্দিন খান Aug 15, 2025
img
টি-টোয়েন্টিতে শিষ্যরা এখন প্রায় ধারাবাহিক, হিসাব বাকি ওয়ানডেতে: সালাউদ্দিন Aug 15, 2025
'সরকারি দল এনসিপি সবচেয়ে বেশি বি'শৃ'ঙ্খলা করছে' Aug 15, 2025