শেখ হাসিনার সংবিধান কায়েম থাকা অবস্থায় নির্বাচন হলে সবাই রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে পরিচিত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট ভাবুক ও কবি ফরহাদ মজহার।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আসন্ন ডাকসু নির্বাচনকেন্দ্রিক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফরহাদ মজহার বলেন, অভ্যুথানের তরুণ নেতারা এখনো শেখ হাসিনার ভূত বয়ে বেড়াচ্ছে। সংবিধান পরিবর্তন না করে নির্বাচন দিলে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রদের দেশদ্রোহী বলে বিবেচনা করা হতে পারে।
বিশিষ্ট এ কবি বলেন, ডাকসু নির্বাচন ঠিক করবে সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লবের কালপর্ব দেশের মানুষ অতিক্রম করতে পারবে কি না।
সেইসঙ্গে শিক্ষকরা বছরে অন্তত দুটি করে গবেষণাপত্র কোনো আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশ করতে না পারলে তার শিক্ষকতা করা উচিত নয় বলে মনে করেন এফরহাদ মজহার।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেন, প্রশাসনের কাউকে কখনো দেখা যায়নি তারা ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য ছুটে গেছে। শিক্ষকদের আগে নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে। যোগ্যদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে কি না।
অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেন, যে শিক্ষক এবং ছাত্ররা মূল নিপীড়ক হিসেবে ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ৭ জন শিক্ষক ২০০ শিক্ষার্থীকে পাঠদান করছে, কারণ শিক্ষক নিয়োগে দলীয়করণ থেকে এখনও প্রশাসন বের হতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে গণরুম বন্ধ হয়ে যাওয়া ছাড়া তেমন কিছু ঘটেনি। আমাদের একে অপরের সঙ্গে কথা বলার সুস্থ পরিবেশ দরকার সাইবার বুলিং মুক্ত। যে শিক্ষার্থীদের বয়স ২২-২৩, তাদের বিরুদ্ধে যখন সাইবার বুলিং হয়, প্রশাসন যখন চুপ থাকে তখন বুঝতে পারা যায় এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীবান্ধব হয়নি।
এমআর/টিকে