ইউক্রেনের কিছু অঞ্চল দখল করার বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সমর্থন দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার একটি প্রস্তাবকে সমর্থন দিয়েছেন যেখানে মস্কো ইউক্রেনের দুটি অঞ্চল পুরোপুরি দখল করবে এবং আরও দুটি আংশিক দখলকৃত এলাকায় সেনা সদস্য মোতায়েন থাকবে।
সূত্র জানায়, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মূলত চান ইউক্রেন দনবাস অঞ্চল ছেড়ে দিক, যা পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক প্রদেশ নিয়ে গঠিত। ট্রাম্পও এ ব্যাপারে সমর্থন দিতে আগ্রহী।
গতকাল শনিবার ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপে এই বিষয়টি আলোচনা করেন। এর আগে গত শুক্রবার তিনি পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
কিন্তু জেলেনস্কি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, দনবাস কোনোভাবেই ছেড়ে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, ইউক্রেনের সংবিধান তাঁকে কোনো ভূখণ্ড ছাড়তে অনুমতি দেয় না। তবে তিনি ট্রাম্প ও পুতিনের সঙ্গে এক ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি।
ইউরোপীয় দুই শীর্ষ কর্মকর্তার বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইউক্রেনের কিছু অংশ সরাসরি রাশিয়ার হাতে ছেড়ে দিয়ে যুদ্ধ শেষ করার প্রস্তাব দিয়েছেন পুতিন। সেই পরিকল্পনায় সমর্থনও দিয়েছেন ট্রাম্প।
দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস আরও জানায়, পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন তাঁর শর্ত পূরণ হলে রুশ সেনারা আর এগোবে না। ট্রাম্প শনিবার ফোনালাপে সেই বার্তাই জেলেনস্কির কাছে পৌঁছে দেন।
এএফপি জানায়, রাশিয়া জানিয়েছে যে, দাবি মেনে নিলে পুতিন খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলে আর অগ্রসর হবেন না। অর্থাৎ সেখানে এক ধরনের যুদ্ধবিরতি দেখা দেবে। তবে শেষ পর্যন্ত সবকিছু নির্ভর করছে পুতিনের কথার ওপর।
ইউক্রেনে হামলার কয়েক মাস পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রাশিয়া চারটি অঞ্চল দখলের দাবি করেছিল, যদিও এখনও তারা সেসব পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি। বর্তমানে রাশিয়ার বাহিনী লুহানস্ক অঞ্চলের প্রায় সব অংশ এবং দোনেৎস্কের বেশিরভাগ এলাকা দখল করে আছে। তবে জাপোরিঝঝিয়া ও খেরসনের মূল নগরীগুলো এখনও ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয়।
কেএন/টিকে