২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঘোষণা করা হলেও, ঘোষিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক ও সাংবাদিক জিল্লুর রহমান। তিনি বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে এই সরকার নির্বাচন দেবে এটা বিশ্বাস করি না। বিশ্বাস না করার অনেকগুলো কারণ আছে। এই সরকার নির্দলীয়-নিরপেক্ষ নয়।ফলে ফেব্রুরিতে নির্বাচন করার সক্ষমতা সরকারের নেই।
একটি ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নির্বাচন ও দেশের সমসাময়িক বিষয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জিল্লুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের জনগণ দীর্ঘদিন যাবত একটা নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের বেশ কিছু রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দাবি করে আসছিল।
সেনাপ্রধান একাধিকবার বলেছেন- ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হওয়া উচিত। সরকার সেটাকে কখনো ডিসেম্বর থেকে জুন, কখনো এপ্রিল, কখনো ফেব্রুয়ারিতে- এই আলোচনাটা করছেন। যখন লন্ডনে প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক হয়, তখন বলেছিলাম বিএনপিকে ট্র্যাপে ফেলা হয়েছে। বিএনপি যে নির্বাচনের দাবিতে আওয়াজ তুলবার চেষ্টা করছিল, সেটাকে ডিফিউজ করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সর্বশেষ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ৫ আগস্টে জাতির উদ্দেশে বক্তৃতায় ফেব্রুয়ারি মাসের কথা যেটা বলেছেন, সেটাও খানিকটা বিএনপিকে আশ্বস্ত করা। বিএনপি আশ্বস্ত হয়েছে মনে হচ্ছে।
এই সাংবাদিক বলেন, জুলাই ঘোষণা নিয়ে কেউই সন্তুষ্ট নয়। জুলাই সনদ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্ব কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করছে। আমি মনে করি না জাতীয় ঐক্যমত্ব প্রতিষ্ঠা শেষ পর্যন্ত করা সম্ভব বা রাজনৈতিক দলগুলো শেষ পর্যন্ত এই সনদে স্বাক্ষর করবে।
ইতিমধ্যেই ইসলামী আন্দোলন, জামায়াত ও এনসিপি পিআরের কথা বলছে। কেউ কেউ বলছেন পিআর ছাড়া নির্বাচন নয়। এখন এনসিপি বলছে- জুলাই সনদকে বাস্তবায়ন করতে হবে। জামায়াত বলছে— নির্বাচনের পরিবেশ এখনও নেই।
তিনি আরো বলেন, আমি আসলে নির্বাচন দেখি না। হ্যাঁ, নির্বাচন হয়তো একটা হতে পারে। কিন্তু সেই নির্বাচন অবশ্যই একটা ভালো নির্বাচন বলতে যা বোঝায়, সেটা অন্তত ফেব্রুয়ারিতে দেখি না। আরো পরিষ্কার করে বললে এই সরকারের পক্ষে কোনো ভালো নির্বাচন করা সম্ভব না।
কেএন/টিকে