অবশেষে জল্পনার অবসান। বোলপুরে শুটিং চলাকালীন যাতায়াতে বাধা, হেনস্তার অভিযোগ ওঠে প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী অরজিৎ সিংয়ের দেহরক্ষীর বিরুদ্ধেই। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বিতর্ক ছড়ায়। শনিবার রাতে দু’পক্ষকেই শান্তিনিকেতন থানায় ডেকে নিজেদের মধ্যেই আলোচনা করেন শান্তিনিকেতন থানার ওসি-সহ পুলিশ আধিকারিকেরা। বেশ কয়েকঘন্টা দু’পক্ষ বসে আলোচনার পর সঙ্গীতশিল্পী অরজিৎ সিংয়ের দেহরক্ষী ক্ষমা চান অভিযোগকারী কমলাকান্ত লাহার কাছে বলেই জানা যায়। এরপরেই অরিজিৎ সিংয়ের দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন কমলাকান্ত লাহা। শুটিং চলাকালীন যাতে বোলপুর, শান্তিনিকেতনের বাসিন্দারা কোনওভাবে হেনস্তার শিকার না হন, সেই সংক্রান্ত মুচলেকা শান্তিনিকেতন থানায় দেন শুটিংয়ের দায়িত্বে থাকা লোকজন।
প্রসঙ্গত, ১৪ আগস্ট শান্তিনিকেতন সুভাষপল্লির বাসিন্দা এসরাজ শিল্পী কমলাকান্ত লাহা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, রাস্তা আটকে চলছিল শুটিং। সেই সময় ওই রাস্তা দিয়ে বাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তালতোড় এলাকায় সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিংয়ের শুটিং চলছিল। সেই সময় তিনি রাস্তায় যেতে গেলে শারীরিকভাবে ধাক্কাধাক্কি ও হেনস্তা করেন তাঁরই এক দেহরক্ষী। এমনকি চ্যাংদোলা করে সরিয়ে দেওয়া হয়। খোয়া যায় হাতের সোনার আংটিও। আর অরিজিৎ সিংয়ের দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়।
সোশাল মিডিয়া জুড়ে চলে জোর চর্চা। সেই আবহে দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে দেহরক্ষীর কাছে মুচলেকা নিয়েই বিতর্ক নিষ্পত্তি করা হয় বলেই পুলিশ সূত্রে জানা যায়। অরিজিৎ সিংয়ের দেহরক্ষী আকাশ সোনার বলেন, “একটা অন্যায় ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এই ঘটনার জন্য আমি লজ্জিত।” অন্যদিকে, অভিযোগকারী কমলাকান্ত লাহা বলেন,”দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনার পরেই শান্তিনিকেতন থানায় মীমাংসা হয়েছে। বারবার ভুল হয়েছে বলার পরে আমিও শিল্পী এমন অবাঞ্ছিত ঘটনায় অভিযোগ প্রত্যাহার করেছি।”
এসএন