আলোচিত-সমালোচিত টিকটক কনটেন্ট নির্মাতা লায়লা আখতার বলেছেন, ‘আমি কাউকে শাস্তি দেওয়ার পক্ষে না; কিন্তু একটা অপরাধ যখন একজন মানুষ কন্টিনিউয়াসলি করতে থাকে, তখন তাকে আসলে সংশোধিত করা দরকার। এটার জন্যই আসলে আইনের শরণাপন্ন হওয়া আমার।’
তিনি আরও বলেন, ‘চার বছরে আমি নিজে অনেক চেষ্টা করেছি, অনেক বুঝিয়েছি। যেই জিনিসগুলো খুব বেশি তীব্র হয়ে গিয়েছিল, কন্ট্রোলের বাইরে চলে গিয়েছিল, সেই বিষয়গুলোর জন্যই আদালতে যাওয়া।
আমার ধারণা হয়েছে, আমার সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পরেও সে যখন আরো অনেক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে সম্পর্কিত হবে, তাদেরও হয়তো একইভাবে অত্যাচার করবে। যেটা আমি একজন নারী হয়ে দেখতে চাই না। আমি তার শুভাকাঙ্ক্ষী হয়েও আমি চাই না সে এই খারাপ কাজগুলো আর করুক।’
আমরা আবার আপনাকে আর মামুনকে একসঙ্গে দেখব কি না এমন প্রশ্নে লায়লা বলেন, ‘ব্যক্তিগত জীবনে আমার আর ওর এক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, একেবারেই নেই, একদমই জিরো- কোনোভাবেই নেই।
কোনোভাবেই সম্ভব না। আর মাফ করার বিষয়টা হলো, যখন দেখব- আমি যেটা চেয়েছি, সে একজন ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছে, তখন এমনিতেই সব মাফ হয়ে যাবে।’
মামুন আপনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো করেছিল, সেগুলো কি আপনি তাকে মাফ করেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওর তো অভিযোগের কোনো শেষ নেই।
আমি কিন্তু ওর লাইফে নেই, ও আমার লাইফে নেই। একদমই আলাদা হয়ে গেছি। তারপরেও আমাকে পয়েন্ট আউট করার কারণ কী আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। আমি আমার লাইফে ভালো আছি, সে তার লাইফে ভালো আছে। ও কোনো কারণে আমার নামটা বারবার নিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা যদি আমার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরমগুলো দেখেন, আমার ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউব কোথাও যদি দেখেন তাহলে দেখবেন যে ওর সাথে আমার কোনো ভিডিও নেই। আমি সব ডিলিট করে দিয়েছি। আমি চাই না যে সে আমার পার্সোনাল বা প্রফেশনাল লাইফে সে থাকুক। সে তার মতো ভালো থাকুক, আমি আমার মতো ভালো থাকি।’
মামুনের নামটা কি আপনার জীবন থেকে মুছে ফেলা এত সহজ হবে? এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে আমরা দুজন এত ভালোবাসার মানুষ ছিলাম। মানুষ কিন্তু আসলে ভালোবাসার বিষয়টা অনেক বড় করে দেখে। আমাদের মধ্যে চার বছরের যে সম্পর্ক ছিল, আমাদের মধ্যে সত্যিকারের ভালোবাসা ছিল। তো এটা সাডেনলি মুছে যাওয়া সম্ভব না। আমরা ভিডিও আপলোড না করলেও মানুষ আমাদের ভিডিও আপলোড করে।’
কেএন/এসএন