ইতালিয়ান ফুটবল কোচেস অ্যাসোসিয়েশন (এআইএসি) গাজায় যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়ায় ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে।
আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইসরাইলের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে এআইএসি জানিয়েছে, 'ইসরাইলকে থামতে হবে। ফুটবলকেও পদক্ষেপ নিতে হবে।'
এআইএসি ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে, যা ইউরোপীয় ও বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা এবং ফিফাতে পাঠানো হবে, যেখানে ইসরাইলকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে।
চিঠির উপসংহারে বলা হয়েছে, 'এআইএসি পরিচালনা পর্ষদ সর্বসম্মতভাবে মনে করে যে প্রতিদিনের হত্যাযজ্ঞ, যেখানে শত শত ম্যানেজার, কোচ ও অ্যাথলেটও নিহত হচ্ছেন, সেই প্রেক্ষাপটে ইসরাইলকে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের প্রস্তাব উয়েফা এবং ফিফাতে উপস্থাপন করা বৈধ, প্রয়োজনীয় এবং আসলেই কর্তব্য।'
'কারণ অতীতের বেদনা কারও বিবেক ও মানবতাকে আচ্ছন্ন করতে পারে না।'–এই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে।
ইতালি ৮ সেপ্টেম্বর নিরপেক্ষ ভেন্যু হাঙ্গেরির ডেব্রেসেনে ইসরায়েলের বিপক্ষে খেলবে, এরপর ১৪ অক্টোবর উদিনেতে ফিরতি ম্যাচ আয়োজন করবে।
এআইএসি'র সহসভাপতি জিয়ানকার্লো কামোলেসে বলেন, 'আমরা চাইলে শুধু খেলার দিকে মনোযোগ দিতে পারতাম, অন্যদিকে তাকাতে পারতাম। কিন্তু আমরা মনে করি সেটা সঠিক নয়।'
গত অক্টোবরেও উদিনেতে ইতালি নেশন্স লিগের খেলায় ইসরাইলের বিপক্ষে খেলেছিল। তখন ম্যাচের আগে ও চলাকালে বিক্ষোভ হয়েছিল এবং কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, এমনকি স্টেডিয়ামের ছাদে স্নাইপারও মোতায়েন ছিল।
তারপর থেকে পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। ২২ মাসব্যাপী যুদ্ধে চলতি মাসের শুরুর দিকের হিসাবে ফিলিস্তিনিদের নিহতের সংখ্যা ৬২ হাজার ছাড়িয়েছে।
এআইএসি'র আরেক সহসভাপতি ফ্রান্সেসকো পেরোন্ডি বলেন, 'বিশ্ব আগুনে জ্বলছে। ফিলিস্তিনিদের মতো অনেক মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। উদাসীন থাকা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।'
সম্প্রতি জার্মান ট্যাবলয়েড বিল্ড জানিয়েছে, বুন্দেসলিগা-২ ক্লাব ফর্চুনা ডুসেলডর্ফ সমর্থকদের ক্ষোভের কারণে ইসরাইলি স্ট্রাইকার শন ওয়েইসম্যানকে চুক্তিবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। কারণ ওই ফুটবলার গাজা যুদ্ধ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কিত পোস্ট করেছিলেন।
এসএন