গাজায় দুর্ভিক্ষ শুরু, সৌদির কড়া প্রতিক্রিয়া

অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় ‘দুর্ভিক্ষ’ শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘের বৈশ্বিক ক্ষুধা এবং খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্থা আইপিসি। এরই মধ্যে সেখানে বড় ধরনের হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে সৌদি আরব।


ইচ্ছাকৃতভাবে গাজায় খাদ্যাভাব তৈরির নিন্দা এবং দুর্ভিক্ষের মধ্যে নতুন হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সৌদি আরব বিবৃতি দিয়েছে। শুক্রবার (২২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজা উপত্যকায় ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) রিপোর্ট এবং দুর্ভিক্ষের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর সৌদি আরব গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর দ্বারা অসহায় বেসামরিক নাগরিকদের উপর সংঘটিত গণহত্যার অপরাধের নিন্দা জানায় সৌদি। আমরা মনে করি, গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয় ইসরায়েলি দখলদারদের দ্বারা বারবার সংঘটিত অপরাধের জন্য প্রতিরোধ এবং জবাবদিহিতা ব্যবস্থার অনুপস্থিতির সরাসরি ফলাফল। দুর্ভিক্ষ বন্ধ করতে এবং ভ্রাতৃপ্রতিম ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি দখলদারদের দ্বারা সংঘটিত গণহত্যা-অপরাধ বন্ধ করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায় থাকবে। বিশেষ করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের নৈতিক অবস্থানের ওপর এটি একটি দাগ হিসেবেই থেকে যাবে।

আইপিসি জানিয়েছে, গাজা গভর্নরেটের মানুষ খাদ্যের অভাবে ভুগছেন। এর আওতায় রয়েছে গাজা শহর এবং আশপাশের এলাকা।

আইপিসি খাদ্য সংকটের মানদণ্ডে গাজার শহরকে তাদের শ্রেণিবিভাগে ‘পঞ্চম ধাপে’ উন্নীত করেছে, যা খাদ্য সংকটের সর্বোচ্চ ধাপ। যার অর্থ গাজা শহর ও আশপাশের এলাকার মানুষ এখন অনাহার এবং চরম দরিদ্রতায় ভুগছেন এবং তারা খাওয়ার জন্য কিছুই পাচ্ছেন না।

গাজার পাশাপাশি দেইর এল-বালাহ এবং খান ইউনিস শহরেও খাদ্য পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে। আইপিসি সতর্ক করেছে, সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে এ দুটি শহরেও দুর্ভিক্ষ শুরু হতে পারে। সে ক্ষেত্রে গাজাজুড়ে প্রায় ৫ লাখের বেশি মানুষ সরাসরি দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বেন।

পিএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বাঘা বাঘা সাংবাদিকদের চোখ এড়িয়ে ইউরোপীয় মৌসুমের সবচেয়ে বড় চমক দেখাল পোর্তো Aug 23, 2025
img
বড় সুখবর মিলল বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস সিরিজ নিয়ে Aug 23, 2025
img
টানা ৫ দিন বৃষ্টির আভাস, সন্ধ্যার মধ্যে ঝড় হতে পারে যেসব জেলায় Aug 23, 2025
img
বাংলাদেশি পেসারদের গতি ও দক্ষতায় মুগ্ধ স্টুয়ার্ট ল Aug 23, 2025
img
কোহলি-রোহিতের অবসর নিয়ে বিসিসিআইয়ের কড়া জবাব Aug 23, 2025
img
ড. ইউনূসের কারণে শুল্ক ইস্যুতে বিশেষ সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশ: প্রেস সচিব Aug 23, 2025
img
পিআর পদ্ধতি সংবিধানে নেই, সংবিধানের বাইরে যেতে পারি না: সিইসি Aug 23, 2025
img
নিজের ‘কাছের মানুষ’কে ভারতের রাষ্ট্রদূত করলেন ট্রাম্প Aug 23, 2025
img
জন্মদিনে চিরঞ্জীবীর ছবির অফিসিয়াল শিরোনাম উন্মোচন Aug 23, 2025
img
নারায়ণগঞ্জে দগ্ধদের সকলের অবস্থা সংকটাপন্ন Aug 23, 2025
img
ভুয়া হজ ও ওমরাহ এজেন্সির ফাঁদে না পড়ার আহ্বান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের Aug 23, 2025
img
শচীনকন্যা সারার নতুন উদ্যোগ, চালু করলেন নতুন পিলাটেস স্টুডিও Aug 23, 2025
img
স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম বরদাশত করা হবে না : উপদেষ্টা নুরজাহান Aug 23, 2025
img
বাগেরহাটে এক চা দোকানের মাসিক বিল ৩ লাখ টাকা Aug 23, 2025
img
যেখানেই ভালোবাসা, সেখানেই জীবন Aug 23, 2025
img
নির্বাচন নিয়ে সরকার চাপ দিলে পদত্যাগ করব: সিইসি Aug 23, 2025
img
নির্বাচন করলে সরকার থেকে আগেই সরে আসতে হবে : নুরুল কবির Aug 23, 2025
img
দেশের সকল সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত Aug 23, 2025
img
রোহিত-কোহলিকে বাদ দিয়ে পন্টিংয়ের সেরা পাঁচ ব্যাটারের তালিকা Aug 23, 2025
img
এশিয়া কাপে স্পন্সর নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভারত Aug 23, 2025