বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক নুরুল কবির বলেছেন, এনসিপি নেতাদের যেসব বন্ধুরা সরকারে আছেন, তারা যদি ভবিষ্যতে নির্বাচন করতে চান, তাহলে নির্বাচনের বহু আগেই তাদের সরকার থেকে সরে আসা প্রয়োজন।
একটি টকশোতে অংশ নিয়ে নুরুল কবির বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দানকারী তরুণরা নিজেরা একাধিক পার্টি করেছেন। তাদের একটা হচ্ছে এনসিপি। এই তরুণদেরই বন্ধুরা যারা সরকারে আছেন; তাদের সঙ্গে এনসিপির নেতৃত্বের রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে।
এছাড়া রাজনৈতিক দল হিসেবে এনসিপির সঙ্গে ড. ইউনূসের অনেক নৈকট্য রয়েছে যা অন্যান্য দলের ততটা নেই। ফলে যারা নির্বাচন করবেন, ক্ষমতায় যাবেন, তাদের ভেতর থেকে যদি ভবিষ্যতে অভিযোগ উত্থাপিত হয়; সেটা নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘যতদূর বুঝি, এই তরুণরা ইতিমধ্যে অনেকগুলো স্বার্থবিরোধী আত্মঘাতী রাজনৈতিক কাজকর্ম করেছেন। তারা যদি নতুন কোনো স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত না হন; তাদের যে বন্ধু কমরেড মন্ত্রীরা আছেন, তারা যদি ভবিষ্যতে নির্বাচন করতে চান, নির্বাচনের বহু আগেই তাদের সরকার থেকে সরে আসা প্রয়োজন।’
নুরুল কবির বলেন, ‘বিআইজিডির একটা সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৪৮.৫০ শতাংশ মানুষ এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কাকে তারা আগামী নির্বাচনে ভোট দেবে। গত অক্টোবরে এই পরিমাণটা ছিল ৩৮ শতাংশ। এখন সংখ্যা বাড়ছে এবং সেখানে এটাও দেখা যাচ্ছে যে বিএনপির যে জনসমর্থন গত অক্টোবরে ছিল, সেখান থেকে সেটা কমছে।
জামায়াতের কিছুটা বাড়ছে। এনসিপির তেমন কোনো সিগনিফিকেন্ট অবস্থা নেই। আওয়ামী লীগেরও জনসমর্থন গত অক্টোবর যেটা ছিল সেখান থেকে খানিকটা কমে এসেছে।’
পিএ/টিকে