মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী সার্জিও গোরকে ভারতে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্কের নাজুক মুহূর্তে এই নিয়োগটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
৩৮ বছর বয়সী গোর রক্ষণশীল রাজনীতিতে দ্রুত উঠে আসা একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। গোর হোয়াইট হাউসের রাষ্ট্রপতির কর্মী কার্যালয়ের পরিচালক হিসেবে ছিলেন । তার প্রধান কাজ ছিল প্রায় ৪,০০০ রাজনৈতিক নিয়োগের ক্ষেত্রে ট্রাম্পের প্রতি আনুগত্য নিশ্চিত করা। তার প্রভাবের মধ্যে পররাষ্ট্রনীতিতে তেমন কোনো অভিজ্ঞতা নেই। যদিও তিনি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কর্মীদের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। এমনকি, ইলন মাস্ক তাকে "সাপ" বলেও অভিহিত করেছিলেন।
ট্রাম্প জানিয়েছেন তার এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তিনি এমন একজন রাষ্ট্রদূত চেয়েছিলেন যার ওপর তিনি সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করতে পারেন ।তিনি আরও জানান গোর দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার জন্য বিশেষ দূতের ভূমিকাও পালন করবেন।
গোরের এই নিয়োগ এমন এক সময়ে এসেছে যখন কিনা ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।যদিও ভারত ঐতিহাসিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের জ্বালানি লেনদেনের কারণে শুল্ক বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিয়েছিল।
সার্জিও গোর সোভিয়েত ইউনিয়নের উজবেকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি পরিবারের সাথে মাল্টায় চলে আসেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করার পর তিনি রিপাবলিকান রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।গোর ট্রাম্পের জন্য তহবিল সংগ্রহকারী ও বই প্রকাশকের কাজ করেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্কো রুবিও তার এক্স এ গোরকে সমর্থন জানিয়েছেন।মার্কো রুবিও গোরের নিয়োগের প্রতি তার উচ্ছ্বাস ব্যক্ত করে বলেছেন , ভারত ও আমেরিকার মধ্যকার সম্পর্ক বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। আর গোর এই পদে হবেন সবচেয়ে চমৎকার একজন প্রতিনিধি।
ভারতের মতো গুরুত্বপূর্ণ দেশে সাধারণত বুদ্ধিজীবী বা প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ করা হয়।যেমন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ জন কেনেথ গ্যালব্রেথ। বাইডেন প্রশাসনের রাষ্ট্রদূত ছিলেন লস অ্যাঞ্জেলেসের প্রাক্তন মেয়র এরিক গারসেটি,।যিনি ভারতীয় দর্শনে আগ্রহী ছিলেন। এই নিয়োগ সেই প্রথা থেকে কিছুটা ভিন্ন।
ইএ/টিকে