বিদ্যমান সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হলে তাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অংশগ্রহণের বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। জুলাই সনদের খসড়া সম্পর্কে এনসিপির পর্যবেক্ষণ জানাতে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়। আখতার হোসেন বলেন, ‘ব্যর্থ কোনো সনদে জাতীয় নাগরিক পার্টির সই করার কোনো অর্থ থাকে না।’
আখতার হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার হস্তান্তর করতে হবে এবং সেই নির্বাচন যেন ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক পক্ষের অংশগ্রহণে হয়। একটা স্বচ্ছ, সুন্দর, সুষ্ঠু নির্বাচন যেন আয়োজিত হয় সে ব্যাপারে আমরা সরকারের কাছে বারবার দাবি জানিয়েছি। নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে বা তার আগের যেকোন সময়ে অনুষ্ঠিত হতে পারে। কিন্তু সে নির্বাচনের ধরনটা কি রকম হবে সেটা আগে জাতির কাছে পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন।
বিদ্যমান সংবিধান রেখেই সামনের নির্বাচনে যদি আমরা অংশগ্রহণ করি তাহলে বাংলাদেশে আবার ফ্যাসিবাদ ফিরে আসার একটা সমূহ সম্ভাবনার জায়গা রয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘সামনের নির্বাচন জুলাই সনদের ভিত্তিতে হতে হবে। এ কারণে নতুন করে এলএফও (লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডার) করতে হবে। যদি নতুন সংবিধানের ব্যাপারে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সামনে নির্বাচন আয়োজন হয় তাহলে জাতীয় নাগরিক পার্টি যেকোনো সময় সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত।’
নতুন সংবিধানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, ‘নতুন সংবিধানকে কোনো কোর্ট আর চ্যালেঞ্জ করতে পারে না। এ কারণেই নতুন সংবিধান করে সেটাতে যদি আমরা সংস্কার প্রস্তাবনাগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করি, তাহলেই কেবল কোর্ট সেটাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না।’ সংস্কার প্রস্তাবনাগুলোকে বিএনপি আসলে মন থেকে কতটা গ্রহণ করে, সে প্রশ্ন তুলেছেন আখতার হোসেন। এ বিষয়ে একমত হতে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
কেএন/টিকে