জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। দীর্ঘ তিন দশক পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা যখন উৎসুক, তখন ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ বিভাজন তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রমে একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
জাকসুকে সামনে রেখেই গত ৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের দিয়ে বর্ধিত ও হল কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর পরপরই কমিটিতে পদপ্রাপ্ত অনেককে নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে হল কমিটিতে রাখা হয় সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী, মাদক ও ছিনতাইয়ে বহিষ্কৃত, ভ্রুণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সহ নানা বিতর্কিতদের। কমিটি ঘোষণার পরই প্রতিবাদ মিছিল বের করেন শাখা ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। সেই থেকে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা আহ্বায়ক কমিটির শীর্ষ পাঁচ নেতাকে প্রায় নয় দিন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে বাঁধা দেয়।
গত ১৭ আগস্ট ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শাখা ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের সঙ্গে শাখা ছাত্রদলের সুপার ফাইভের সেদিন নানা চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এরপর থেকে সুপার ফাইভ এবং বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে যায় শাখা ছাত্রদল।
ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়ার উপস্থিতিতে জাকসুর জন্য প্রার্থী বাছাইয়ে।
শাখা ছাত্রদলের শীর্ষ পাঁচ নেতাদের পাশাপাশি বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরাও আলোচনা টেবিলে বসেছিলেন। তবে দীর্ঘ মিটিংয়ের পরও অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও প্যানেলে পদ পাওয়ার হিসাব-নিকাশে তারা প্রার্থী বাছাই করতে ব্যর্থ হয়।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহিরউদ্দীন মোহাম্মদ বাবর বলেন, 'আমাদের মধ্যে কোনো গ্রুপিং নেই। আমাদের সবার এক গ্রুপ। আমরা তারেক রহমানের গ্রুপ। আমাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বেশি থাকার কারণে প্যানেল ঘোষণা করতে একটু দেরি হচ্ছে। কিন্তু ২/১ দিনের মধ্যেই আমরা প্যানেল ঘোষণা করবো।'
টিকে/