রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ডা. জাহেদ উর রহমান বলেছেন, ‘আমি একের পর এক অজুহাত দেখছি, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘সংস্কার না হলে নির্বাচন হবে না। বিচার না হলে নির্বাচন হবে না। এই কথাগুলো যারা বলেন, তারা আমাদের এই বিচারটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চান।
বিচার করা এবং সেটা কখন, কিভাবে শেষ হবে, এটা বিচার বিভাগের ব্যাপার। এর আগে আইসিটিতে জামায়েতের যে বিচার হয়েছে সেটা প্রহসন, তার পরও প্রতিটা বিচারে এভারেজ আড়াই বছর সময় লেগেছে। আর আপনি এখন এক বছরের মধ্যে বিচার ভিজিবল করতে বলছেন।’
সম্প্রতি এক বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে তিনি এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘এনসিপি আবার আরেক দাবি আছে, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে তারা নির্বাচন করবে না।’
জামাতের আমিরও কোথাও একটু ঘটনা ঘটলেই বলেন, ‘এই অবস্থায় কিসের নির্বাচন। সুতরাং আমরা দেখছি, একটার পর একটা বাহানা বা অজুহাত তৈরি করা হচ্ছে।’
ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘ধরেন, কোন দল ৪০ শতাংশ ভোট পেলে বাংলাদেশে সরকারে মেজরিটি পেয়ে যায়।
১৭০-১৮০ সিটও পেতে পারে। কিন্তু পিআর হলে সে সিট পাবে ১২০টা। তার আর ৩১টা সিট লাগবে সরকার গঠন করার জন্য। এই ৩১টা সিটের বিনিময়ে আমাকে এই মন্ত্রী দাও, ওটা দাও, এই ধান্দা দাও, এই প্রজেক্ট দাও। না হলে আমি সরিয়ে ফেলব।
এমকে/টিকে