পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিজস্ব অস্ত্র কারখানা বানানোর দাবি করেছেন ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ। তবে কোন কোন দেশে এসব কারখানা তৈরি করা হয়েছে তা তিনি জানাননি। খবর ইরান ইন্টারন্যাশনালের।
গত শুক্রবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আজিজ নাসিরজাদেহ বলেন, ‘আমরা কয়েকটি দেশে অস্ত্র কারখানা তৈরি করেছি।
তবে আপাতত সেসব দেশের নাম ঘোষণা করব না।’
নাসিরজাদেহ জানান, তারা সব সময় ‘মিসাইল ডেভেলপমেন্টকে’ প্রাধান্য দিয়েছেন। তবে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর তাদের এই প্রাধান্য হয়তো পরিবর্তন হতে পারে। যেসব দেশে অস্ত্র কারখানা বানানো হয়েছে, সেগুলো নিকট ভবিষ্যতে প্রকাশ করা হবে।
তিনি আরো জানান, গত এক বছরে ইরান নতুন ধরনের ওয়ারহেড পরীক্ষা করেছে। এগুলো আধুনিক ও চলাচলক্ষম, যা সামরিক সক্ষমতাকে আরো শক্তিশালী করবে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, যদি জুন মাসের সংঘাত ১৫ দিন পর্যন্ত বিস্তৃত হতো, তাহলে ইসরায়েলি বাহিনী ইরানের কোনো ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে পারত না। আর এ জন্যই ইসরায়েল মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চাইতে বাধ্য হয়েছিল।
ইরান তার সবচেয়ে নির্ভুল অস্ত্র কাসেম বাসির ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেনি বলেও জানান তিনি। কাসেম বাসির ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মে মাসে উন্মোচিত হয়, যা একটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ইরান বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা প্রায় ১,২০০ কিলোমিটার। এতে রয়েছে উন্নত নির্দেশিকা এবং প্রতি-প্রতিরোধ ক্ষমতা।
পিএ/টিকে