ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পর সংগঠনের সদস্যরা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদলের ভিপিপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। রোববার (২৪ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পসে নির্বাচনি প্রচারণার সময় তিনি এ অভিযোগ করেন।
আবিদুল বলেছেন, ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমরা কিন্তু শ্রদ্ধা ও স্নেহের সমন্বয়ে রাজনীতি চেয়েছিলাম ক্যাম্পাসে, কিন্তু বারংবার সেটাতে আঘাত করা হয়েছে। ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে আমাদের বারংবার ক্যাম্পাস ও হলগুলোতে পদচারণায় বাধা প্রদান করা হয়েছে। মজলুম ছিলাম, আজও পর্যন্ত ক্যাম্পাসে আমরা মজলুম হিসেবেই আছি। একমাত্র ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল যারা অভ্যুত্থানে অবদান রাখার পরও গত বছরের ৬ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অনধিকার চর্চা করেনি। কোনো সচিবালয়ে যায়নি, কোনো মন্ত্রণালয়ে যায়নি, কোনো অধিদপ্তরে যায়নি। আমরা আমাদের স্বচ্ছতার সম্পূর্ণ প্রমাণ কিন্তু দিয়েছি। তাছাড়া যেসব সংগঠন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, তারা কিন্তু বিভিন্নভাবে অনধিকার চর্চার চেষ্টা করেছে। সেগুলোর প্রমাণ কিন্তু আছে।’
তিনি বলেন, ‘তারপরও এ নির্বাচন ঘিরে আমাদের নিয়ে একটা অপপ্রচার চালানো হয়েছে যে, ছাত্রদল নির্বাচন চায় না। কিন্তু আমরা যখন নির্বাচনে অংশ নিয়েছি, তখন আমাদের সাইবার বুলিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে বাঁধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে, বিশেষ করে নারী সদস্যদের। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছেন, আমরা নাকি আচরণবিধি মানি না। আমাদের নাকি প্রশাসন পক্ষপাতিত্ব করছে। শোনেন, এই প্রশাসন যদি কোনো পক্ষপাতিত্ব করে থাকে তাহলে...এই ডাকসুর গঠনতন্ত্রে আছে মহান মুক্তিযুদ্ধের আইডিওলোজি সমন্বিত রাখা। যারা সেই স্বাধীনতার আইডিওলজি ধারণ করে না তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়ে প্রথমেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষপাতিত্ব করেছে।’
আবিদ আরও বলেন, ‘প্রতিহিংসার রাজনীতিকে আমরা বারবার নিরুৎসাহিত করেছি। কিন্তু বারংবার আপনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আমাদের আঘাত করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের মহান নেতাদের পোস্টার আপনারা পা দিয়ে পাড়িয়েছেন, তারপরও আমরা ধৈর্য ধরেছি, শুধু প্রকৃতির হাতে ছেড়ে দিয়েছি। আমাদের বিরুদ্ধে আপনারা যে অভিযোগ আনছেন, তা কোনো অভিযোগের মধেই পড়ে না। এখন পর্যন্ত আমরা একমাত্র সংগঠন, যারা সবাইকে মর্যাদা দিয়ে এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি।’
কেএন/এসএন