প্যারিসে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত চার্লস কুশনারকে তলব করেছে ফ্রান্স। রোববার (২৪ আগস্ট) ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে লেখা একটি চিঠিকে কেন্দ্র করে তলব করা হয় কুশনারকে। ওই চিঠিতে কুশনার অভিযোগ করেছেন যে, ফ্রান্স ইহুদি-বিরোধী সহিংসতা বন্ধে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
কুশনার, যার ছেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়েকে বিয়ে করেছেন, রোববার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে ওই খোলা চিঠিটি প্রকাশ করেন।
চিঠিতে কুশনার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে ইসরাইলের সমালোচনা কমানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে ফরাসি সরকারের বিবৃতি ফ্রান্সে ইহুদি-বিদ্বেষী ঘটনাগুলোকে উস্কে দিয়েছে।
এদিকে, মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফ্রান্স মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত চার্লস কুশনারের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে পেরেছে। যিনি প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্টের কাছে লেখা একটি চিঠিতে ফ্রান্সে ইহুদি-বিরোধী কার্যকলাপের বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং ফরাসি কর্তৃপক্ষকে এর বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত পদক্ষেপের অভাবের অভিযোগ উল্লেখ করেছেন।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, রাষ্ট্রদূতের অভিযোগ অগ্রহণযোগ্য। সোমবার রাষ্ট্রদূত কুশনারকে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে, জেরুজালেম পোস্টের মতে, কুশনারের চিঠিটি পাঠানোর আগে ম্যাক্রোঁকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন, যেখানে নেতানিয়াহু ম্যাক্রোঁকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির আহ্বান জানিয়ে ইহুদি-বিদ্বেষে অবদান রাখার অভিযোগ করেছেন।
রয়টার্স বলছে, গাজা যুদ্ধ নিয়ে বিশেষ করে ফিলিস্তিনি বেসামরিক হতাহতের ক্ষেত্রে, ম্যাক্রোঁ ইসরাইলের অন্যতম জোরালো সমালোচক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন, অন্যদিকে ট্রাম্প দৃঢ়ভাবে ইসরাইলি নেতাকে সমর্থন করেছেন।
ইএ/টিকে