বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান বলেছেন, তিনি তাঁর বেঁচে থাকার সাংবিধানিক অধিকার চান। সোমবার হাইকোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
ফজলুর রহমান বলেন, ‘৬১ বছর ধরে রাজনীতি করছি। এই দেশে আমার বেঁচে থাকার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। এখন সেই অধিকারে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। বিদেশ থেকে বিশেষ করে ফ্রান্স থেকে কিছু ইউটিউবার আমাকে হত্যার অর্ডার দিয়েছে। জামায়াতের কিছু লোকও গলা কেটে হত্যার হুমকি দিয়েছে। ছেলেরা যেভাবে স্লোগান দিচ্ছে, এতে আমি মৃত্যুর আশঙ্কা করছি। মৃত্যুকে ভয় পাই না, তবে অপমৃত্যু আমার প্রাপ্য নয়।’
দেশের মানুষকে উদ্দেশ করে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, ‘এই দেশের স্বাধীনতার জন্য আমি যুদ্ধ করেছি। ৫৪ বছর আগে আমি তোমাদের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। আজ কি তোমাদের কাছ থেকে আমার অপমৃত্যু প্রাপ্য? যদি মনে হয় আমি দেশের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, তাহলে মামলা করো, আমাকে গ্রেপ্তার করো, শাস্তি দাও। কিন্তু হত্যার জন্য মব চলতে পারে কি না, তা আমি বাংলাদেশের মানুষের কাছে জানতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যদি নির্বিঘ্নে বাঁচার অধিকার আমার থাকে, তবে আমার জন্য দোয়া করবেন। আর প্রতিবাদ করে বলবেন—ফজলুর রহমানকে নির্বিঘ্নে বাঁচতে দাও।’
ফজলুর রহমান জানান, মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে তিনি কখনো আপস করবেন না। সম্প্রতি এক টকশোতে দেওয়া তাঁর বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ প্রচার হওয়ায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর ভাষ্য, ‘যদি আমার বক্তব্যে ভুল থাকে, তাহলে আমাকে বুঝিয়ে বলুন। প্রয়োজনে আমি হাতজোড় করে ক্ষমা চাইব।’
এদিকে, জুলাই আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীদের ‘কালো শক্তি’ আখ্যায়িত করায় ফজলুর রহমানকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছেন ছাত্র-জনতা।
সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় তাঁর বাসার সামনে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় পুলিশ ও সেনা সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যায়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে দেওয়া ফজলুর রহমানের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ঘিরে রাজনীতিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁর বক্তব্যের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ছাত্র-জনতা। এরইমধ্যে ফজলুর রহমানকে শোকজের নোটিশ দিয়েছে বিএনপি।
এসএন