চলচ্চিত্রে দীর্ঘদিন ধরে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এ বি এম সুমন। যদিও সম্প্রতি কাজের পরিমাণ কম, তিনি এখনো নতুন ছবিতে ব্যস্ত। একাধিক প্রজেক্ট হাতে থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি একটি ছবির প্রচারণা শুরু হয়নি, কারণ টিম সিদ্ধান্ত নিয়েছে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে বিস্তারিত প্রকাশ না করতে।
সাম্প্রতিক সময়ে সুমন একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিতে কাজ করেছেন, কিন্তু এরপর তাকে ওটিটি বা অন্যান্য মাধ্যমে দেখা যায়নি। তিনি জানান, মিডিয়ায় নতুন প্রস্তাব খুব বেশি আসেনি এবং শোবিজকেন্দ্রিক আড্ডায় অংশগ্রহণও কম। তার দৈনন্দিন জীবন বেশ সাদামাটা—বাসা, জিম এবং বন্ধুদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আড্ডা।
অভিনয় ছাড়া সুমনের জীবিকা নির্ভর করে অল্প পরিমাণ ব্যবসায়িক কার্যক্রমের ওপর। তিনি জানান, তার স্ত্রীও চাকরি করেন এবং তার ব্যক্তিগত চাহিদা খুব কম, তাই আর্থিক চাপ নেই।
বেশিরভাগ ছবিতে তাকে বাহিনী বা নিরাপত্তা সংক্রান্ত চরিত্রে দেখা যায়। তিনি বলেন, এসব চরিত্র তার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই হওয়ায় নির্মাতারা তাকে কাস্ট করেন। সামরিক ইউনিফর্মে অভিনয় করতে গিয়ে তিনি নিজেকে শক্তিশালী ও দেশাত্মবোধ জাগ্রত অনুভব করেন। তবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সামরিক বা গুপ্তচর কেন্দ্রিক গল্প সীমিত, কারণ আন্তর্জাতিক ও ভৌগোলিক চাপের কারণে এমন গল্প সহজে দেখানো যায় না।
৪০ বছর বয়সী এ অভিনেতা মনে করেন, এই বয়সেই পুরুষ অভিনেতার ক্ষেত্রে পরিপক্বতা আসে। লুক, চিন্তাভাবনা, অ্যাটিটিউড এবং কাজের মান—সবকিছুতে ম্যাচিওরিটি তৈরি হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে মানসম্পন্ন কাজের মাধ্যমে দর্শকরা তাকে আবারও কাছ থেকে উপভোগ করতে পারবেন। সুমন বলেন, “আমি কাজ কম করলেও দর্শক আমার উপস্থিতি মনে রাখে। কাজ যেটাই করব, সেটা যেন মানসম্পন্ন হয়; শুধুমাত্র অর্থের জন্য কোনো কাজ করতে চাই না।”
এফপি/ টিকে