কক্সবাজারে ‘রোহিঙ্গা বিষয়ক অংশীজন সংলাপ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেওয়া ৪০ দেশের অতিথিসহ শতাধিক অংশীজন উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। সম্মেলনের শেষ দিন মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে উখিয়ার ৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছায় অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধি দলের গাড়িবহর।
পরে দুপুর পর্যন্ত দুটি আলাদা দলে বিভক্ত হয়ে তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের খাদ্য সহায়তা প্রকল্প, জীবিকা প্রকল্প সহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি তারা আশ্রয় জীবনের পরিস্থিতি বুঝতে ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সাথেও কথা বলেন। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
পরিদর্শনে অংশ নেওয়া আরকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল কাউন্সিলের (এআরএনসি) সভাপতি জার্মানির বাসিন্দা নেই সান লুইন এক গণমাধ্যমকে বলেন, এটি নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক উদ্যোগ। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী অনিশ্চয়তার মাঝেও আশা খুঁজছে, তাদের মানবেতর জীবনযাপন অবলোকনের এই আয়োজন বিশ্বের কাছে বর্তমান পরিস্থিতির বার্তা পৌঁছাবে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ এক গণমাধ্যমকে বলেন, গত ৮ বছরে এটিই প্রথম বড় কোনো উদ্যোগ, ইনক্লুসিভ আয়োজন, যেখানে রোহিঙ্গারাও নিজেদের দুঃখ-দুর্দশা, আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরতে পেরেছে। সরকারকে ধন্যবাদ। আশা করছি সংকট উত্তরণে এই পদক্ষেপ সহায়ক হবে।
পরিদর্শন শেষে বিকেলে কক্সবাজার ত্যাগ করেছেন অধিকাংশ বিদেশি কূটনৈতিক ও অতিথিরা।
গত ২৪ আগস্ট বিকেলে ইনানীর বে-ওয়াচ হোটেলে আলোচিত এই সম্মেলন শুরু হয়। পরদিন ২৫ আগস্ট ‘রোহিঙ্গা গণহত্যা স্মরণ দিবসে’ সম্মেলনের একটি অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিশ্বকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় সংকট উত্তরণের লক্ষ্যে অংশীজনদের উদ্দেশে তিনি ৭টি কর্ম পরিকল্পনা প্রস্তাব করেন।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিতব্য রোহিঙ্গা বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে কক্সবাজারে পূর্ব প্রস্তুতিমূলক এই আয়োজনের প্রাপ্তি-প্রস্তাবনা তুলে ধরা হবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
এমকে/এসএন