বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় শহরের পৈরতলায় এনসিপির জেলা কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) মোহাম্মদ আতাউল্লাহ।
তিনি বলেন, এটি একটি দলবাজ নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনাররা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। অথচ তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। যদি সত্য উদঘাটন করা হয় তাহলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার পদে থাকতে পারবেন না।
রুমিন ফারহানার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আতাউল্লাহ বলেন, সোমবার রাতে একটি টেলিভিশন টকশোতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী খালেদ হোসেন মাহবুব সম্পর্কে রুমিন ফারহানা যে মন্তব্য করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তিনি বলেন, খালেদ হোসেন একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। তাকে বিতর্কিত করতেই এ ধরনের অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
আতাউল্লাহ বলেন, শুনানিতে বক্তব্য দেওয়ার সময় রুমিন ফারহানা হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে আমার দিকে তেড়ে আসেন এবং তার অনুসারীদের মাধ্যমে আক্রমণের ইঙ্গিত দেন। পরে আমাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারা হয়। এ সময় বিজয়নগর উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী আমিনুল হক চৌধুরী ও জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক শেখ মুস্তফা আহত হন।
তিনি দাবি করেন, ঘটনাটি নির্বাচন কমিশনের সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্টভাবে আছে। অথচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিকৃত ভিডিও ছড়িয়ে আমাকে আক্রমণকারী হিসেবে প্রচার করা হয়েছে।
আতাউল্লাহ বলেন, যদি নির্বাচন কমিশনের সামান্যতম সততা ও সাহস থাকে, তাহলে তারা সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করবে এবং রুমিন ফারহানার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অন্যথায় জনগণের আস্থা কমিশনের ওপর থাকবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য জিহান মাহমুদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রধান সমন্বয়কারী আজিজুর রহমান, যুগ্ম সমন্বয়কারী খায়রুল ইসলাম, আখাউড়ার প্রধান সমন্বয়কারী ইয়াকুব আলী এবং সদর উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী আক্কাস মীরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এমকে/এসএন