চলতি বছরের এপ্রিলে সর্বশেষ জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন পাকিস্তানের তারকা ওপেনার ইমাম-উল-হক। কিন্তু নিউজিল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাত্র ৩ রানে আউট হওয়ার পরবর্তী ম্যাচে ১ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। এরপর থেকে চার মাস দলের বাইরে ইমাম। এমনকি আসন্ন এশিয়া কাপের স্কোয়াডেও তার জায়গা হয়নি। জাতীয় দল যখন টুর্নামেন্টটির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, ইমাম তখন ঝড় তুলছেন ইংল্যান্ডে।
কাউন্টি ওয়ানডে কাপের একেবারে আগমুহূর্তে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে ডাক পান ইমাম। ভারতের রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের পরিবর্তে ইয়র্কশায়ার দলে যোগ দেওয়া এই ওপেনার রীতিমতো ফর্মের তুঙ্গে আছেন। দলটির হয়ে এই পাকিস্তানি ওপেনার গ্রুপপর্ব শেষ করেছেন ৫৮৩ রান নিয়ে, গড় ৯৭.১৬। সাত ইনিংসে করেছেন তিনটি করে সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরি।
কাউন্টিতে খেলতে নামার শুরু থেকেই ইয়র্কশায়ারের ব্যাটিং লাইনআপের মূল ভরসা হয়ে ওঠেন ইমাম। ৫৫ রান দিয়ে শুরু, দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেন লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস, ১৫৯ রান। এরপর ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে খেলেন ম্যাচ জেতানো ১১৭ রান। পরের ইনিংসে ৫৪* ও ২২ রানের পর সাসেক্সের বিপক্ষে করেন ১০৬ (১০৮ বলে)। গ্রুপের শেষ ম্যাচেও খেললেন আরেকটি অর্ধশতক (৭০)।
যদিও প্রথমে ইয়র্কশায়ারের হয়ে পাঁচটি কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচ ও আটটি ওয়ানডে কাপ ম্যাচ খেলতে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন তিনি। তবে ইয়র্কশায়ার এখন গ্রুপ ‘বি’র শীর্ষে (৭ ম্যাচে ৬ জয়, ২৪ পয়েন্ট) থাকায় এখন ইমামের নকআউট পর্বেও খেলার সম্ভাবনা প্রবল।
ইমাম এমন সময়ে কাউন্টিতে ব্যাটে আলো ছড়াচ্ছেন, যখন পাকিস্তান ওয়ানডে ফরম্যাটে বেশ বাজে পরিস্থিতিতে আছে। ৩৪ বছর পর প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সিরিজ হেরেছে তারা এবং চলতি বছরে খেলা ১১ ম্যাচের মধ্যে জিততে পেরেছে মাত্র দুটিতে। ইমাম সর্বশেষ পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডে খেলেছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত এপ্রিলে। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দলে ছিলেন না। এখন পর্যন্ত ৭৫ ম্যাচে তিনি ৩১৫২ রান করেছেন ৪৭.০৪ গড় নিয়ে।
প্রসঙ্গত, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে এশিয়া কাপ। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হওয়ায় ইমামের পাকিস্তান স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া আরও অসম্ভব ছিল। এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে কেবল দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। টেস্ট ও ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারের শুরুতে বেশ প্রতিভাবান ব্যাটার হিসেবেই তাকে মনে করা হচ্ছিল।
ইউটি/টিএ