রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার ন্যায়বিচার নিশ্চিতের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত ওআইসির

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত নৃশংসতার অষ্টম বার্ষিকীতে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) তাদের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে ওআইসি জানিয়েছে, রোহিঙ্গারা এখনো নিপীড়ন, রাষ্ট্রহীনতা ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির শিকার হচ্ছেন।

সংস্থাটি ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা ও তাদের অধিকার সুরক্ষার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংহতি এবং টেকসই সমাধানের জন্য আবারও আহ্বান জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা এখনো বাংলাদেশ ও অন্যান্য আশ্রয়দানকারী দেশে শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করছে। মিয়ানমারেও হাজার হাজার মানুষ হত্যাকাণ্ড, সীমাহীন বৈষম্য ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছেন।

ওআইসি আন্তর্জাতিক উদ্যোগগুলোর প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) চলমান মামলা, যা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার কাজ করছে।

সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে, সংঘাতের সব পক্ষ-বিশেষ করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মিকে আইসিজের দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা মেনে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বাংলাদেশ ও অন্যান্য ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার উদারতার প্রশংসা করা হয় এবং বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর সহায়তায় বহু মুসলিম দেশের মানবিক সহায়তাকেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

একই সঙ্গে, ওআইসি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখা এবং মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ নেওয়ার আহ্বান জানায়।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সংকটের মূল কারণগুলো নিরসনে আন্তর্জাতিক সংহতি ও সমন্বিত পদক্ষেপ জোরদার করতে হবে এবং একটি সমন্বিত, ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী সমাধানের দিকে এগুতে হবে।

এতে আরো বলা হয়, আজকের এই স্মরণীয় দিনে ওআইসি রোহিঙ্গা মুসলমানদের সাহস ও দৃঢ়তার প্রতি শ্রদ্ধা জানায় এবং তাদের অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।

পিএ/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কেন খাবেন টমেটো? Aug 27, 2025
img
কুয়েতে সহজ হলো ফ্যামিলি ও ট্যুরিস্ট ভিসা Aug 27, 2025
img
প্রাথমিকের ৩ কোটি ৬৩ লাখ বই ছাপাতে খরচ ১৮৭ কোটি Aug 27, 2025
img
কৃষিবিদ আসাদুজ্জামান কিটোনকে সংবর্ধনা দিল এ্যাব Aug 27, 2025
img
খুলনায় স্বামীর হাতে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ Aug 27, 2025
img
ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় সিরীয় ৬ সেনা নিহত Aug 27, 2025
img
পঞ্চগড়ে যৌথবাহিনীর অভিযানে অনলাইন জুয়া চক্রের ২ সদস্য আটক Aug 27, 2025
img
আলমডাঙ্গায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৩ Aug 27, 2025
img
রাশমিকার ‘দ্য গার্লফ্রেন্ডের’ দ্বিতীয় গান ‘এম জরুগুথোন্ধি’ ভক্তদের মন ছুঁল Aug 27, 2025
img
প্রীতি জিনতা দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন, লাহোর ১৯৪৭, হীরামণ্ডি ২ ও মিন্ডি ক্যালিংয়ের সঙ্গে হলিউড সিরিজ Aug 27, 2025
img
মাছ ধরার ট্রলারে মিলল মাদক, আটক ৯ Aug 27, 2025
img
বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আপসহীন : মাসুদ কামাল Aug 27, 2025
img
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ Aug 27, 2025
img
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাকচাপায় প্রাণ হারাল ব্যাংক কর্মকর্তা Aug 27, 2025
img
রুমমেটকে ছুরিকাঘাত: জালালকে পুলিশে দিল প্রশাসন Aug 27, 2025
img
ভিনিকে বিক্রি করে দিতে বললেন রিয়াল কিংবদন্তি Aug 27, 2025
img
কারাগারে সন্তান জন্ম দিলেন হত্যা মামলার আসামি Aug 27, 2025
img
জেনেভা ক্যাম্পে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১১ Aug 27, 2025
img
রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার ন্যায়বিচার নিশ্চিতের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত ওআইসির Aug 27, 2025
img
কাজী নজরুলের কবিতা দেশের মুক্তিকামী মানুষকে সাহস যুগিয়েছে : তারেক রহমান Aug 27, 2025