নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ থেকে রাজনৈতিকদলসহ অংশীজনদের সঙ্গে ইসির সংলাপ শুরু হয়ে চলবে অক্টোবর পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকে উৎসব মুখর পরিবেশে আনতে চায় নির্বাচন কমিশন এজন্য যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে প্রস্তুত-এ কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে রোডম্যাপ চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি), এতে সেপ্টেম্বরে নতুন দলগুলো নিবন্ধন পেতে পারে এছাড়াও সেপ্টেম্বর মাসেই হবে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ।
ইসির তৈরি করা সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনায় ২৪টি কার্যক্রমের সময়সূচি নির্ধারণ করেছে সংস্থাটি- এ কথা জানিয়ে আখতার আহমেদ বলেন, আগামী মাসের ১৫ তারিখ থেকে রাজনৈতিকদলসহ অংশীজনদের সঙ্গে ইসির সংলাপ শুরু হয়ে চলবে অক্টোবর পর্যন্ত।
নভেম্বরের শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে-এ কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন,
ভোটগ্রহণের ৬০ দিন আগে তফসিল ঘোষণা করে হবে তবে ভোটগ্রহণের তারিখ তো আমি জানি না। প্রধান উপদেষ্টার অফিস থেকে বলা হয়েছে আগামী রমজানের আগে ভোটের ব্যবস্থা করতে। আগামী রমজান মানে ১৭, ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারির দিকে হবে। ওই সময় ধরে হিসেব করে নিতে পারেন। রমজানের সাথে চাঁদ দেখার বিষয় আছে বলেও উল্লেখ করেন।
ভোটার তালিকায় ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ হবে তাদের জন্য আরেকটি ভোটার তালিকা করা হবে-এ কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর বিধিমালা চূড়ান্ত করতে আগামী সপ্তাহে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত করা হবে ১৫ সেপ্টেম্বরের মাধ্যমে আবার সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষক নীতিমালা একই মাসে চূড়ান্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ভোটকেন্দ্র নীতিমালায় প্রতি বুথে ৬০০ পুরুষ ৫০০ নারী রাখার বিধান করা হচ্ছে এবং প্রবাসীরা এবার সহজ পদ্ধতিতে ভোট দেয়ার সুযোগ পাবেন। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ম্যানুয়াল ভোটার তালিকা দেয়া হবে এছাড়াও ব্যালট বক্স মজুদ রয়েছে ইসিতে, কিনতে হচ্ছে না।
সংক্ষেপে নির্বাচনী রোডম্যাপ-
এতে বলা হয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন দলের নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। এর পরেই সংলাপ শুরু হবে, যা শেষ হবে অক্টোবরের। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ আইন সংশোধন, ভোটার তালিকা আইন সংশোধন, সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র নীতিমালা ও ব্যবস্থাপনা চূড়ান্ত, দেশি- বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সংবাদিক নীতামালা চূড়ান্ত করা হবে। এছাড়া, নির্বাচন পরিচালনা (সংশোধন) ২০২৫, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন ১৯৯১ ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন ২০০৯ সংশোধনের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার সম্ভাব্য সময়সূচি ধরা হয়েছে ৩০ নভেম্বর। তবে তফসিলের তারিখ বা ভোটের তারিখ নেই রোডম্যাপে। এছাড়াও প্রশিক্ষণ, মতবিনিময়, মিটিং, ব্রিফিং, মুদ্রণ, বাজেট বরাদ্দ, আইটি ভিত্তিক প্রস্তুতি, প্রচারণা, সমন্বয় সেল, আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক প্রভৃতি কার্যক্রমের সম্ভাব্য সময়ও নির্ধারণ করেছে ইসি। ভোটকেন্দ্র নীতিমালায় প্রতি বুথে ৬০০ পুরুষ ৫০০ নারী রাখার বিধান করা হচ্ছে এবং প্রবাসীরা এবার সহজ পদ্ধতিতে ভোট দেয়ার সুযোগ পাবেন।
এর মধ্যে আবার সংযোজনও হবে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।