ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে এ পর্যন্ত ২ লাখ ২০ হাজার রুশ সেনা নিহত

ইউক্রেন যুদ্ধের ভয়াবহতা বিশ্বের সামনে পুরোপুরিভাবে না আসলেও এ নিয়ে সঠিক তথ্য প্রকাশে কাজ করছে অনেক সংস্থা এবং গণমাধ্যম। তবে, উভয় দেশ নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে তেমন কিছু না জানানোর কারণে যুদ্ধে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি বের করা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রুশ এবং ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম বলেছে, রাশিয়ার সামরিক ক্ষয়ক্ষতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে চলতি আগস্ট পর্যন্ত রাশিয়ার নিহত সেনাসদস্যের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ২০ হাজারে পৌঁছেছে। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মস্কোর জন্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল সামরিক সংঘাত ও ক্ষয়ক্ষতি।

সংবাদমাধ্যম দুটি খোলা উৎস- শোকবার্তা, স্থানীয় সংবাদ ও প্রকাশ্য নথির ওপর ভিত্তি করে ১ লাখ ২৫ হাজার ৬৮১ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে তারা মনে করছে, প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। এজন্য তারা উত্তরাধিকার নথি ব্যবহার করে পরিসংখ্যান তৈরি করেছে। সেই ভিত্তিতে অনুমান করা হয়েছে নিহতের সংখ্যা ২ লাখ ১৯ হাজারেরও বেশি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে রাশিয়ায় পুরুষ মৃত্যুহারের নতুন রেকর্ড হয়, প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৩ হাজার মৃত্যু। তবে সেই তথ্যে ঘাটতি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। কারণ অনেক সেনা নিখোঁজ এবং অনেক মৃত মামলা নিষ্পত্তি হয়নি, যা আদালতের ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে।

অন্যদিকে, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী দাবি করছে, রাশিয়ার নিহত, আহত ও বন্দিসহ মোট ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে, যা পশ্চিমা দেশগুলোর হিসেবের সঙ্গেও মিল রয়েছে। তবে মস্কো এখনো কোনো সরকারি সংখ্যা প্রকাশ করেনি।

একইসঙ্গে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস) গত জুনে জানায়, ২০২২ থেকে এ পর্যন্ত ইউক্রেনেরও নিহত ও আহত হয়েছে প্রায় ৪ লাখ সেনা। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও গত ডিসেম্বর একই রকম একটি পরিসংখ্যান দেন।

বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির পরও রাশিয়া নতুন চুক্তিভিত্তিক সেনা সংগ্রহ করে দোনেৎস্কে অগ্রগতি বজায় রেখেছে। অন্যদিকে ইউক্রেনীয় সেনাদের বড় চ্যালেঞ্জ হলো- সামনের সারির পদাতিক বাহিনীতে ক্রমবর্ধমান জনবল সংকট। বর্তমানে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ ৮০ হাজার, যেখানে রাশিয়ার বাহিনী ৬ লাখ, তবে নির্দিষ্ট অঞ্চলে মস্কো সংখ্যাগত সুবিধা পাচ্ছে।

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা দ্বিতীয় জয় পেল পাকিস্তান Aug 31, 2025
img
নুরের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল গলাচিপা Aug 31, 2025
img
সংস্কার না হলে আমাদের পরিণতিও ভিপি নূরের মত হবে: হাসনাত আবদুল্লাহ Aug 31, 2025
img
ভারত সফরের পরিকল্পনা বাতিল করলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প Aug 31, 2025
img
বাংলাদেশিসহ ১০৪ বিদেশির মালয়েশিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা Aug 31, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে যমুনায় যাবেন জামায়াতের প্রতিনিধি দল Aug 31, 2025
img
গুম বন্ধে রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি: ছাত্রশিবির সভাপতি Aug 31, 2025
img
চিরকাল শত্রু থাকে না, স্থায়ী শুধু স্বার্থ: ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী Aug 31, 2025
img
সাকিবের কীর্তিতে ভাগ বসালেন লিটন দাস Aug 31, 2025
img
কক্সবাজারে নদী ও পরিবেশ দূষণ করলে হোটেল বন্ধ করা হবে: নৌপরিবহণ উপদেষ্টা Aug 31, 2025
img
প্রতিটি জেলায় ট্যালেন্ট হান্ট চালু করবে বিএনপি : আমিনুল হক Aug 30, 2025
img
ম্যাচসেরা তাসকিন জানালেন সাফল্যের রহস্য Aug 30, 2025
img

জামায়াত নেতা রেজাউল করিম

‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে’ Aug 30, 2025
img
বিএনপি এখন বেহেশত ও দোজখের মাঝামাঝি আছে : রনি Aug 30, 2025
img
সাভারে র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতির চেষ্টা, গ্রেপ্তার ৪ Aug 30, 2025
img
ডিজিটাল যুগে নির্মল ভালোবাসার প্রতীক হয়ে ফিরলেন কৃতি শেট্টি Aug 30, 2025
img
করণের সিনেমায় জাহ্নবীর চাইতে কম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে সানায়া, নেটিজেনদের ক্ষোভ Aug 30, 2025
img
জামায়াত বিশ্বাসঘাতক: খোকন Aug 30, 2025
img

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা

‘মার্কিন ব্র্যান্ড এখন টয়লেটে চলে গেছে’ Aug 30, 2025
নুরের ঘটনায় নতুন যে কর্মসূচি দিলো গণঅধিকার পরিষদ Aug 30, 2025