আমেরিকান পপ তারকা সাবরিনা কারপেন্টার অবশেষে প্রকাশ করলেন বহুল প্রতীক্ষিত সপ্তম স্টুডিও অ্যালবাম ম্যান’স বেস্ট ফ্রেন্ড। শুক্রবার থেকে বিশ্বব্যাপী স্ট্রিমিংয়ে শোনা যাচ্ছে অ্যালবামটি। মুক্তির দিনকে ঘিরে লস অ্যাঞ্জেলেসের ঐতিহাসিক হলিউড ফরএভার সেমেট্রিতে আয়োজন করা হয় বিশেষ স্পটিফাই রিলিজ পার্টি।
কারপেন্টার নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানালেন, এই অ্যালবাম এসেছে একেবারেই চাপমুক্ত অনুপ্রেরণা থেকে। তার ভাষায়, “এটি ভাঙা হৃদয়ের উৎসব, হতাশার উদযাপন, নিজের ভুল সিদ্ধান্তে হেসে ওঠার গল্প।” ২৫ বছর বয়সী এই তারকার মতে, ম্যান’স বেস্ট ফ্রেন্ড তরুণ প্রজন্মের বিভ্রান্তি, প্রেম, আনুগত্য আর বেদনার মধ্যেও মজা খুঁজে নেওয়ার প্রতিচ্ছবি।
অ্যালবামটির ১২টি গানের মধ্যে বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে ম্যানচাইল্ড, টিয়ার্স এবং নোবডিস সান। এর দ্বিতীয় সিঙ্গেল টিয়ার্স-এর ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে একইসঙ্গে, যেখানে সাবরিনার সঙ্গে অভিনয় করেছেন অস্কার মনোনীত অভিনেতা কোলম্যান ডোমিঙ্গো। ভিডিওটির থিম সাজানো হয়েছে রকি হরর-এর ঘরানায়, ঝলমলে ড্র্যাগ পারফর্মার আর রহস্যময় হন্টেড হাউসের আবহে।
কারপেন্টার সরাসরি ঘোষণা দিয়েছেন, “এটি রক্ষণশীলদের জন্য নয়।” তবে তিনি বিশ্বাস করেন, সমালোচক বা ভিন্ন মতের মানুষও একান্ত একাকিত্বে এই অ্যালবামের সুরে খুঁজে পাবেন এক টুকরো হাসি বা ব্যঙ্গাত্মক আনন্দ।
তবে ভক্তদের প্রতিক্রিয়া মিশ্র। কেউ কেউ অ্যালবামের ভিন্নতা ও সমন্বিত ভাবনাকে প্রশংসা করছেন, কেউবা বলছেন এটি আগের অ্যালবাম শর্ট এন সুইট-এর মান ধরে রাখতে পারেনি। তবুও সাবরিনা অটল-তার কাছে এটি একদম নতুন সঙ্গীতযাত্রার সূচনা।
অ্যালবাম মুক্তির আগে লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউইয়র্ক ও লন্ডনের সীমিত সংখ্যক ভক্তকে সরাসরি শোনার সুযোগ দেন তিনি। মাত্র ২৬ জন করে ভক্তকে বেছে নিয়ে আয়োজন করা হয় গোপন সেশন, যেখানে সবাই ফোন জমা দিয়ে সম্পূর্ণ মনোযোগে শোনেন নতুন গানগুলো।
অ্যালবামের কাভার নিয়েও হয়েছে বিতর্ক। প্রথম প্রচ্ছদে সাহসী ভঙ্গিতে তোলা ছবি নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন সাবরিনা। পরে তিনি একে একে চারটি ভিন্ন প্রচ্ছদ প্রকাশ করেন-যার মধ্যে রয়েছে মেরিলিন মনরোর অনুকরণ, ফুলেল সাজে রোজ ভিনাইল সংস্করণ এবং সর্বশেষ পুরুষ ভক্তদের মাঝে নীল পোশাকে জ্বলজ্বলে উপস্থিতি।
সমালোচনা, প্রশংসা, আলোচনার মধ্য দিয়েই সবার সামনে এল ম্যান’স বেস্ট ফ্রেন্ড। সাবরিনার ভক্তদের কাছে এটি নিঃসন্দেহে এক নতুন সঙ্গীত অধ্যায়ের সূচনা।
টিকে/