ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হতে পারে এমন দুই হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংস্কারে শত কোটি টাকার বেশি ব্যয় বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
এসব কেন্দ্র মেরামত ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণে অর্থায়ন চেয়ে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের কাছে চিঠি দিয়েছে।
এরমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেরামতের জন্য ৩৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আলতাফ হোসেনের তৈরি প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, মেরামত ও সংস্কার কাজ করা প্রয়োজন এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৪৯০টি।
অপরদিকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা লাগবে এমন ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৫৫৯টি। এজন্য মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত চাহিদা দেওয়া হয়েছে ৭৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এর আগে নির্বাচন কমিশন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন ভোটকেন্দ্র হতে পারে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছোটখাটো সংস্কার ও হালনাগাদ তথ্য চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদপ্তরের প্রধানদের চিঠি দিয়েছিল।
এরপর ২৭ অগাস্ট ভোটকেন্দ্রের সংস্কার বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের চাহিদার তথ্য একীভূত করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে অবহিত করেছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর বরাদ্দ চেয়ে দেওয়া চিঠি শিক্ষা সচিবের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকেও দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ভোটকেন্দ্র ব্যবহার উপযোগী করা বিষয়ক চিঠিতে ইসি বলেছিল, আগের সংসদ নির্বাচনে ব্যবহৃত ভোটকেন্দ্র এবং সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রগুলোর মধ্যে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সীমানা প্রাচীর নেই এবং কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দরজা জানালা জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। এমন অবস্থায় ছোট খাট মেরামত বা সংস্কারের কাজ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে নিজস্ব অর্থায়নে করার অনুরোধ করা হয়।
সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪২ হাজারের বেশি ভোট কেন্দ্র ছিল, এতে ভোট কক্ষ ছিল ২ লাখ ৬১ হাজারের বেশি। এবার ভোটকেন্দ্র না বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা বলেছেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
গত শনিবার নির্বাচন কমিশনার ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে নির্বাচন ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বুথের সংখ্যা পুনর্নির্ধারণ করার মাধ্যমে কমিশন ইতোমধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে। আগে পুরুষদের জন্য একটি বুথে ভোটার সংখ্যা ছিল ৫০০ এবং নারীদের জন্য ৪০০। এখন তা যথাক্রমে ৬০০ ও ৫০০ করা হয়েছে।
“এর ফলে প্রায় ৪৯ হাজার বুথ কমানো সম্ভব হয়েছে। একই সঙ্গে প্রায় দেড় লাখ নির্বাচন কর্মকর্তার প্রয়োজনও কমেছে। শুধু একটি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এত বড় অংকের ব্যয় সাশ্রয় করা গেছে। ভবিষ্যতেও প্রতিটি ধাপে এই মিতব্যয়িতা নিশ্চিত করতে হবে।”
এসএস/টিকে