তিন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সমস্যা কি বাড়ল না কমল এমন প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের হামলার পর দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে।
এমন অবস্থায় তিন রাজনৈতিক দলকে ডেকে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপরে আরো সাতটি রাজনৈতিক দলকে প্রধান উপদেষ্টা ডাকবেন।’
তিনি বলেন, ‘ইতিপূর্বে যে সব বৈঠক হয়েছে এ রকম বিপদের সময়; ড. মুহাম্মদ ইউনূস মূলত নিঃশ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এবারও ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিঃশ্বাস নিতে চান প্রাণ ভরে। তিনি বলেছেন যে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথাবার্তা বললে আমি বিশ্বাস ফিরে পাই, আস্থা ফিরে পাই। এইবার তিনি তিনটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বাকি সাতটি দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন।’
‘কিন্তু বিপত্তি হলো, ইতিপূর্বে তিনি যেভাবে শ্বাস নিতে পেরেছেন, সাহস সঞ্চয় করতে পেরেছেন, আশার বাণী শুনেছেন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে; এবার ব্যতিক্রম। বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো ভালো কথা শোনাও হয়নি, বলাও হয়নি। আমি যতটুকু বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখেছি, এটা জাস্ট ফরমাল মিটিং।
এখানে বরং এই বৈঠকের ফলে বিএনপির মধ্যেও হতাশা তৈরি হয়েছে। আর ড. ইউনূসের মধ্যেও হতাশা তৈরি হয়েছে। এটা তো নির্বাচন নিয়ে বৈঠক নয়, বৈঠকটা হলো এই সার্বিক অস্থিরতা নিয়ে। তো সেই বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। জাতীয় পার্টি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি; তাহলে কি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, এটাও কেউ বলেননি।’
‘আপনি বিপদে পড়বেন আর আমাকে ডাকবেন আর আমি প্রতিবার গিয়ে আপনাকে সান্ত্বনা দিয়ে আসবো; আমার তো দায় ঠেকেনি। আমাদের সমাজে মানুষ খুব বেশি কিছু চায় না। আপনি ধরুন, আমার সঙ্গে আপনার একটা ভালো সম্পর্ক আছে। আমি একটা মন্ত্রী হলাম। আপনাকে ডাকলাম ভাই আসেন। এক কাপ চা খেয়ে যান। কখনো কোনো প্রয়োজন হলে আসবেন, আমার দরজা সবসময় আপনার জন্য খোলা। এতটুকুই তো আপনি আমার কাছে আশা করেন।’
তিনি বলেন, ‘যারা একাধিকবার ক্ষমতায় এসেছেন; জাতীয় পার্টি বলেন, জামায়াত বলেন, বিএনপি, আওয়ামী লীগ- এরা তো বছরের পর বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। আর আপনি মাত্র ১২ মাসে এসে এত অভিজাত হয়ে গেলেন যে, এই রাজনৈতিক দলগুলোকে আপনি মনে করছেন যে, এরা খেলনা পুতুল; আপনি ডাকলে সেখানে যাবে আর আপনার কথামতো তারা চলবে। এটা হয় না, ফলে যা হবার ধীরে ধীরে ড. ইউনূস এবং তার যারা লোকজন রয়েছেন তাদের মান সম্মান তাদের গুরুত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর নিকট কমে যাচ্ছে, এখন তারাও চোখ উল্টানি দিচ্ছে, তারাও নানা রকম নেতিবাচক কথাবার্তা বলছে।’
কেএন/টিকে