জাহেদ উর রহমান

এ সরকার সংস্কার নিয়ে খুব গুরুত্ব দিয়েছে বলে আমি একেবারেই মনে করি না

রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান বলেছেন, এ সরকার সংস্কার নিয়ে খুব গুরুত্ব দিয়েছে বলে আমি একেবারেই মনে করি না। কতগুলো কমিশন করেছে ঘটনাচক্রে আমি নিজেও একটা কমিশনের সদস্য ছিলাম। এ সরকার সংস্কার নিয়ে একদম সিরিয়াস না, একটু প্রমাণ দেই, যখন ঐকমত্য কমিশন হয় ছয়টা সংস্কার কমিশনের মধ্যে পাঁচটার তথ্য নিয়ে ওখানে যাওয়া হয়। পুলিশ সংস্কার কমিশন যায়নি।

বলা হয়েছে এটা ওখানে আলোচনার দরকার নেই। এটা এডমিনিস্ট্রেটিভ স্টেপস নিয়ে সবগুলো ইমপ্লিমেন্ট করা যায়। হয়েছে? ১৩০ টার মত সংস্কার প্রস্তাব, বাকি পাঁচটায় ওগুলো ঐকমত্য কমিশনে যায় নাই। কারণ এগুলো সরকার খুব অল্প সময়ের মধ্যে আইন এবং বিধিমালা সংশোধনের মাধ্যমে করে ফেলতে পারে।

ওর মধ্যে গত দু মাস বা তিন মাস আগে দেখা গেছে ৪০ টাও হয় নাই।

সম্প্রতি এক টেলিভিশন টকশোতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহেদ উর রহমান বলেন, ঐকমত্য কমিশন যখন বৈঠকে বসা শুরু করে, আমাদের তো ডিবেট হয়েছে কনস্টিটিউশনাল কিছু ইস্যু নিয়ে। আইন সংশোধন করে ফেলার মত সংশোধন অনেকগুলো একমত হয়ে গেছে ঐকমত্য কমিশন কাজ শুরুর সময়ই।

ওগুলো কি ইমপ্লিমেন্ট করা হয়েছে? অল্প কয়েকটা করা হয়েছে। আমরা কেন যেন মনে করলাম সংবিধানটা ঠিকঠাক মত লিখলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। আমাদের অসংখ্য আইন সংশোধন করে খুব চমৎকার সার্ভিস দেয়া সম্ভব জনগণকে। সেগুলো ঠিকঠাক মতো করা যায়নি।

তিনি বলেন, আমরা মনে করছি পঞ্চদশ সংশোধনীর পর এটা কোনো সংবিধান ছিল না।

এটা একটা ট্র্যাশ। পঞ্চদশ সংশোধনীতো বাতিল হয়ে গেছে সুতরাং আগের অবস্থায় ফিরে গেছি। এটাও কি এডিকুয়েট— উত্তর হচ্ছে না। সংবিধান সংস্কার কমিশন দেশের সিভিল সোসাইটির মানুষজনকে যখন ডেকেছে তাদের অপিনিয়ন দেওয়ার জন্য আই ওয়াজ অলসো ইনভাইটেড।

আমারও সুনির্দিষ্ট কতগুলো পরিকল্পনা, প্রস্তাবনা ছিল আমি দিয়েছি। এই সংবিধান সংশোধন করতে হবে দ্যাটস ইম্পর্টেন্ট।

জাহেদ উর আরো বলেন, নতুন সংবিধান লিখেই শুধু এটা সংশোধন করা যায়? একেবারে ভুল ধারণা। সংশোধনীর মাধ্যমে যতগুলো কথা হয়েছে প্রত্যেকটা ইমপ্লিমেন্ট করা যায়। আই রিপিট, কোন সংবিধান সংশোধনীটা— সংবিধান নতুন করে না লিখলে করা যাবে না, আমি জানতে চাই।

এমআর/এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ডেঙ্গুতে আরো ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৬৩ জন Sep 04, 2025
img
মস্কোয় শান্তি আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান জেলেনস্কির Sep 04, 2025
img
২১ আগস্টের ঘটনায় তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ Sep 04, 2025
img
ডাঙ্কি-সুলতানকে পেছনে ফেলে আয়ের শীর্ষে সাইয়ারা Sep 04, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা উল্লেখ করা উচিত ছিল চীনের: ট্রাম্প Sep 04, 2025
img
জামিন মেলেনি সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক পান্নার Sep 04, 2025
img
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তিন নীতিমালার খসড়া অনুমোদন Sep 04, 2025
img
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: প্রেস সচিব Sep 04, 2025
img
অভিনেত্রী মালাইকার সঙ্গে বাবার বয়সের পার্থক্য মাত্র ১২ বছর! Sep 04, 2025
img
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বগি রেখেই ছাড়লো ট্রেন, চলাচল স্বাভাবিক Sep 04, 2025
img
প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা লোকরাই হাসিনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে: রিজভী Sep 04, 2025
img
দ্বিতীয়বার মা হলেন অভিনেত্রী গওহর খান Sep 04, 2025
img
‘ঘটনা ঘটতে দেখবেন’, পুতিনকে ট্রাম্পের হুমকি! Sep 04, 2025
img
রাজসাক্ষী মামুন ক্ষমা পাবেন কিনা সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনালের: প্রসিকিউশন Sep 04, 2025
img
আইপিএলের আগে দর্শকদের বড় দুঃসংবাদ দিল বিসিসিআই Sep 04, 2025
img
শেখ হাসিনা কিছু ক্ষুদে স্বৈরাচার রেখে গেছেন: আমীর খসরু Sep 04, 2025
img
রাজাকার নিয়ে কথা বলার পর থেকে ঘুমাতে পারছি না : আব্দুল কাদের Sep 04, 2025
img
কোয়াবের নির্বাচন আজ, সভাপতি পদে লড়ছেন মিঠুন ও শাহেদ Sep 04, 2025
img
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণায় আজহারীর নিন্দা Sep 04, 2025
img
ইনজুরিতে প্রোটিয়া তারকা, ছিটকে গেলেন ইংল্যান্ড সিরিজ থেকে Sep 04, 2025