বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের ভিপিপ্রার্থী আব্দুল কাদের বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে একটি হতাশাগ্রস্ত পোস্ট দিয়েছেন। এতে তিনি লেখেন, ‘আমার ডাকসুতে জিতা লাগবে না, কেবল বেঁচে থাকতে চাই। এতটুকু দয়া অন্তত আমাকে দেখানোর অনুরোধ। সেই রাজাকার নিয়ে কথা বলার পর থেকেই যে শুরু হইছে, প্রতিনিয়ত সেটা আরো বাড়তেছে। তার পর থেকেই আমি ঘুমাতে পারি না, মাঝরাতে জেগে যাই; শরীর কাঁপতে থাকতে।’
কাদের এমন পোস্টের পর তার পাশে দাঁড়িয়েছেন ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। বৃহস্পতিবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কাদের তোমাকে কথা দিচ্ছি- রাজাকার, আল বদর, আল শামসদের বংশধরদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল তোমার পাশে সর্বাত্মকভাবে থাকবে, ইনশাআল্লাহ। ’
ছাত্রদল সভাপতি আরও বলেন, ‘আল বটর বাহিনীর কমান্ডারদের আসল চরিত্র উন্মোচিত হয়েছে। সাইবার বুলিংয়ের জন্য প্রশিক্ষিত শিবিরের নেতা-কর্মী, গুপ্ত বাহিনী, সমর্থক, সাথীবৃন্দ, জনশক্তি দ্বারা শুধুমাত্র সচেতন নারীনেতৃত্বই নয়, বিরোধী মতাদর্শের সবাই ধারাবাহিকভাবে আক্রান্ত হচ্ছে। এদেরকে চিহ্নিতপূর্বক বিচারের আওতায় নিয়ে আসতেই হবে, সেই দাবি করছি। সময়ের পরিক্রমায়, অপরাধীদের বিচার সুনিশ্চিত। ’
এদিকে কাদের তার পোস্টে আরও লিখেছিলেন, ‘একটা মানুষকে নিয়ে আর কত করবেন? মানুষের কতটুকুও বা ধৈর্য ক্ষমতা থাকে, আমি আর কত দিন নিতে পারব জানি না। কেবল অনলাইনে এই হেনস্তাটা আমার পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকলেও মানা যাইত, বাড়িতে গিয়ে আমার আম্মাকে পর্যন্ত কথা শোনাচ্ছেন!’
কাদের আরও বলেন, ‘১০ দিন আগের বক্তব্য কাট করে প্রপাগান্ডা না ছড়ালেও পারতেন। পুরা বক্তব্য তুলে ধরলে বক্তব্যের সারমর্ম বুঝতে পারত মানুষ। কেবল তো শুরু, আরো ৫ দিন বাকি। তত দিনে কী যে ঘটবে, সেটা ভাবতে গেলে আরো বেশি ট্রমাটাইজড হয়ে যাই।’
ইএ/টিকে