যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে সেনা মোতায়েন করায় ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ওয়াশিংটন ডিসি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ফেডারেল কোর্টে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার আর্জিতে বলা হয়, এই সেনা মোতায়েন অসাংবিধানিক এবং একাধিক ফেডারেল আইনের লঙ্ঘন। সেনা মোতায়েন বন্ধে আদেশ জারির জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে সামরিক বাহিনীর কার্যক্রম সম্প্রসারিত করেছেন। গেল মাসে তিনি ন্যাশনাল গার্ড সৈন্যদের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে মোতায়েন করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, এর মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও জননিরাপত্তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। রাজধানীর মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিপার্টমেন্টকেও সরাসরি ফেডারেল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের এমন নজিরবিহীন সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সৃষ্টি হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এবার খোদ ওয়াশিংটন ডিসি কর্তৃপক্ষ রাজধানীতে ন্যাশনাল গার্ড সৈন্য মোতায়েনের ঘটনায় ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
বৃহস্পতিবার ফেডারেল কোর্টে মামলাটি দায়ের করেন ডিসির অ্যাটর্নি জেনারেল ব্রায়ান শোয়ালব। মামলায় বলা হয়, এই সেনা মোতায়েন অসাংবিধানিক এবং একাধিক ফেডারেল আইনের লঙ্ঘন। আদালতের কাছে এই মোতায়েন বন্ধে আদেশ জারিরও আবেদন জানানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমেরিকান ভূমিতে মার্কিন নাগরিকদের ওপর সশস্ত্র সেনারা পুলিশি দায়িত্ব পালন করবে, এটি কখনোই হওয়া উচিত নয়। এটি প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতার ‘বিপজ্জনক সম্প্রসারণ’, যা সেনাবাহিনী ও সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
মামলার আর্জিতে ব্রায়ান শোয়ালব বলেন, ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ার ওপর জোরপূর্বক সামরিক দখল স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন এবং মৌলিক স্বাধীনতার লঙ্ঘন।
গেল ১১ আগস্ট অপরাধ-বিরোধী কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রায় আড়াই হাজার সৈন্য মোতায়েন করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসব সৈন্যদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি সৈন্য রিপাবলিকান সমর্থিত ছয়টি অঙ্গরাজ্য থেকে আনা হয়েছে। যাদের অস্ত্র বহন করার নির্দেশ ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দিয়েছেন ট্রাম্প।
এমকে/এসএন