ফেব্রুয়ারি কি সত্যিই ভোটের মাস হতে যাচ্ছে বলে প্রশ্ন করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সেটা কি আমরা উৎসবের মতো উদযাপন করতে পারব? নির্বাচন কমিশন ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য একটি পথরেখা ঘোষণা করেছে। তাতে অগ্রাধিকারের ২৪টি কাজের কথা আছে। সীমানা পুনঃনির্ধারণ থেকে শুরু করে ভোটার তালিকা, দল নিবন্ধন, দেশীয় পর্যবেক্ষক স্বীকৃতি কিন্তু ক্যালেন্ডারের নির্দিষ্ট দিন তারিখ এখনো অনুল্লিখিত।
পথরেখায় স্পষ্ট আছে ভোটের অন্তত ৬০ দিন আগে তফসিল ঘোষণা হবে। এটুকুই এখন পর্যন্ত কাঠামোগত নিশ্চয়তা।’ সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিও বার্তায় ফেব্রুয়ারির নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জিল্লুর রহমান বলেন, ‘রাজনীতির মাঠে ইঙ্গিত ইশারার সবচেয়ে বড় সাউন্ড বাইট এসেছে লন্ডন সোর্স আলোচনার পর।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২৬-কে রেফারেন্স মাস হিসেবে ধরা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রকাশ্য ঘোষণাতেও সেই র্যাম্প টাইমলাইন নিশ্চিত হয়েছে। রমজানের আগে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট।’ তিনি বলেন, ‘এ ঘোষণার সূত্রে উৎসবমুখর নির্বাচনের প্রত্যয়ও শোনা গেছে।
কিন্তু নির্বাচনের অভিজ্ঞতা জানে শুধু তারিখ বা টাইম ফ্রেম নয়। ভোট মানে এক বিশাল সিস্টেম টেস্ট। রাজনীতি, আইন-শৃঙ্খলা, প্রশাসন, কমিশন, মিডিয়া সবকিছু মিলিয়ে কাজ না করলে বেলুন ফোলানো যায়। আস্থা ফোলানো যায় না। এই আস্থার জায়গাটি সবচেয়ে ভঙ্গুর।
জিল্লুর আরো বলেন, ‘যারা নির্বাচনী ট্রানজিশনকে নস্যাৎ করতে চায় তারা গুজবকে বেছে নেবে এটাই স্বাভাবিক রাজনৈতিক কৌশল। প্রধান উপদেষ্টা প্রকাশ্যেই বলেছেন কিছু পক্ষ নির্বাচনী প্রক্রিয়া ভেস্তে দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বা করবে। সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। এই সতর্কবার্তা একই সঙ্গে রিয়ালিজম ও সেলফ ফুলফিলিং রিসক দুটোকেই সামনে আনে। শাসক পক্ষকে যেমন সিকিউরিটি ম্যানেজ করতে হবে তেমনি ন্যারেটিভও।’
এসএস/এসএন