রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, ‘আইয়ামে জাহিলিয়াতে মরদেহকে অঙ্গহানি করা হতো। ক্রোধে কারো মাথা কেটে নেওয়া হতো, কারো কান কেটে নেওয়া হতো, নাক কেটে নেওয়া হতো। এই জিনিসগুলো তো এখন কল্পনাও করা যায় না। কিন্তু এই ঘটনাগুলোই এখন দেশে ঘটছে।’
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি।
গোলাম মাওলা বলেন, ‘এখন মানুষের সহায়-সম্পত্তি নিরাপদ নয়। যে যার মতো করে মব তৈরি করছে। একজনের অফিস দখল করছে, আরেকজনের সম্পত্তি অন্যজনে দখল করছে।
রাস্তাঘাটে চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই-রাহাজানি মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। মানুষ কারো কাছে সাহায্য-সহযোগিতায় যাবে, এ রকম কোনো রাস্তা নেই। স্বয়ং পুলিশ কর্তৃপক্ষ আতঙ্কগ্রস্ত। এখন ৯৯৯-এ টেলিফোন করে পুলিশকে ডেকে নিয়ে বেদম প্রহার করা হচ্ছে। এটি নিয়ে পুলিশের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে যে ৯৯৯-এ টেলিফোন পেলেই তারা রেসপন্ড করবে কি করবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ সেই ব্ল্যাক সেপ্টেম্বরের কবলে পড়েছে। একটার পর একটা অনাহত ঘটনা ঘটে চলেছে। সমুদ্রে মরদেহ ভাসছে। নদ-নদীতে মরদেহ ভাসছে।
যে ঘটনা বাংলাদেশে কোনো দিন ঘটেনি, মৃত ব্যক্তিকে কবর থেকে তুলে তার মরদেহকে অপমান করা হচ্ছে। এই মরদেহের ওপর ক্ষোভ ঝাড়া হচ্ছে।
পেটানো হচ্ছে, জুতা মারা হচ্ছে। তারপর সেই মরদেহ পুড়িয়ে ছারখার করে দেওয়া হচ্ছে। এ রকম ঘটনা আমরা মধ্যযুগে শুনেছি। তখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে প্রতিপক্ষের মরদেহের সঙ্গে এ রকম আচরণ করা হতো। কিন্তু এখন তো আমরা এই ধরনের ঘটনা কল্পনাই করতে পারি না।’
এমআর/টিকে