ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে নির্বাচনী আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে স্থানীয়দের ডাকা সড়ক অবরোধের কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে নির্বাচনী আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দাদের ডাকা অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে টানা ৬ ঘণ্টা পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষুব্ধরা অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল শুরু হয়।
এর আগে, বেলা ১১টার দিকে বিজয়নগরের চান্দুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে অবরোধ শুরু হয়। এতে বিএনপি, এনসিপি ও হেফাজতে ইসলামের স্থানীয় নেতাকর্মীরাও যোগ দেন। আন্দোলনকারীরা চান্দুরা ও বুধন্তি ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে কেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে যুক্ত করার প্রতিবাদ জানিয়ে সড়কে অবস্থান নেন।
অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। এতে শত শত যাত্রী ও চালক ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়েন। বিশেষ করে নারী, শিশু ও অসুস্থ যাত্রীদের দুর্ভোগ ছিল চোখে পড়ার মতো।
দীর্ঘ ভোগান্তির পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ এবং বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। আধাঘণ্টা আলোচনার পর দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন বলেন, চান্দুরা ও বুধন্তি ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ থেকে আলাদা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-তে যুক্ত করলে প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়বে স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা আপাতত অবরোধ প্রত্যাহার করেছি। কিন্তু দ্রুত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হলে রেল ও নৌপথ অবরোধের মতো আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এসএস/টিকে