কাতারে ইসরাইলি হামলায় ‘বিরক্তি’ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এ ঘটনায় তিনি ‘খুশি নন’।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, এ হামলার কারণে এখন গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে। কারণ ইসরাইল যেখানে হামলা করেছে সে ভবনেই আলোচনার জন্য বসেছিলেন হামাসের শীর্ষ কূটনৈতিক নেতারা।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের কর্মকর্তাদের বৈঠকে ইসরাইল হামলা চালায়। ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ১৫টি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয়, যেখানে একটি লক্ষ্যবস্তুতে ১০টি গোলাবারুদ নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
দোহার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তারা ৮টি পৃথক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। হামাস জানিয়েছে, এ হামলায় তাদের ছয়জন সদস্য নিহত হয়েছে। তবে তাদের শীর্ষ নেতৃত্ব বেঁচে গেছেন।
হামাস বলছে, এই হামলা ‘জঘন্য অপরাধ, একটি স্পষ্ট আগ্রাসন এবং সব আন্তর্জাতিক নিয়ম ও আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন’। কাতার বলেছে, হামলাটি আন্তর্জাতিক আইনের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’, পাশাপাশি কাতারের জন্য ‘গুরুতর হুমকি’।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্টতই ক্ষোভ এবং হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, তিনি ‘এর প্রতিটি দিক নিয়ে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট’। বলেন, হামলা চলাকালীন মার্কিন সেনাবাহিনীর কাছ থেকে তিনি হামলার কথা জানতে পেরেছেন।
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি রয়েছে কাতারে। তাই মার্কিন প্রশাসনকে না জানিয়ে এ হামলা হয়েছে তা বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জাতিসংঘের নেতারা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ সরকারও এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
ইএ/টিকে