অনেকেই বলেন, তাঁকে দেখতে নাকি দাদু রাজেশ খন্নার মতো। যদিও বড়পর্দায় এখনও দেখা যায়নি এই তারকা-সন্তানকে। অভিনয় নিয়ে নাকি কেরিয়ার গড়তে চান না অক্ষয় কুমার এবং টুইঙ্কল খন্নার পুত্র আরভ ভাটিয়া। ২০০২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ে জন্ম আরভের। দেখতে দেখতে ২৩–এ পা দিলেন আরভ। ছেলেকে নিয়ে কী লিখলেন বাবা?
মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাড়ি ছাড়েন আরভ। বলিপাড়া সূত্রের খবর, উচ্চশিক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে চলে যান তিনি। সিঙ্গাপুরের একটি কলেজ থেকে স্নাতক হন তিনি। বাবার মতো শরীরচর্চার প্রতি ছোটবেলা থেকেই আগ্রহ আরভেরও। মাত্র চার বছর বয়স থেকে মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন তারকা-পুত্র। দু’ধরনের বিশেষ ক্যারাটের প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর ‘ব্ল্যাক বেল্ট’ পেয়েছেন আরভ। জাতীয় স্তরের জুডো প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। এ হেন আরভ এখন নাকি বাবাকেও ছাড়ছেন না।
অক্ষয় লেখেন, ‘‘আমার যখন ২৩ বছর বয়স তখন পর্দায় কী ভাবে লোককে পেটাতে হয় সেটা শিখেছিলাম। আর এখন অদ্ভুত একটা অনুভূতির সঙ্গে বুঝতে পারি, কী ভাবে প্রযুক্তি থেকে ফ্যাশন, এমনকি ডিনার টেবিলে বিতর্কে আমাকে প্রতি মুহূর্তে তুই হারিয়ে দিস। দেখতে দেখতে কত বড় হয়ে গেলি রে তুই!...আমার গল্পেই আমাকে যে ভাবে তুই পার্শ্বচরিত্রে পাঠিয়ে দিলি, তাতে আমি গর্বিত।’’
আরভের স্বভাব খুবই সাদাসিধা। অক্ষয় এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে, আরভ নিজের কাজ নিজে করতেই ভালবাসেন। নিজে রান্না করেন, নিজের জামাকাপড় নিজেই কাচেন। ফ্যাশন নিয়ে পড়াশোনা করলেও দামি পোশাকের প্রতি বিশেষ আগ্রহ নেই আরভের। অক্ষয় জানিয়েছিলেন, আরভ নাকি পুরনো জিনিসপত্র ফেলে দিতে পছন্দ করেন না। তাই পুরনো জিনিসপত্র বিক্রির দোকানে গিয়ে পুরনো জামাকাপড় কেনেন তিনি। সেই পুরনো পোশাক কিনে পরতেও নাকি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন আর।
এসএন