যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জেরুজালেমে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন। কাতারে ইসরায়েলের হামলার পরের ঘটনা এই সাক্ষাতের অ্যাজেন্ডার শীর্ষে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নেতানিয়াহু এবং রুবিওর এই বৈঠক আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জাতিসংঘের ওই অধিবেশনে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং বেলজিয়ামসহ যুক্তরাষ্ট্রের কিছু মিত্র দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র কাতারের ভূখণ্ডে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের লক্ষ্য করে যে চালানো হয়েছিল তাতে আন্তর্জাতিকভাবে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। একইসাথে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলার সমালোচনা করেছিলেন।
এর আগে মার্কো রুবিও বলেছিলেন, অবশ্যই আমরা এতে খুশি নই। প্রেসিডেন্টও এই বিষয়ে খুশি নন। এখন আমাদের এগিয়ে যেতে হবে এবং পরবর্তীতে কী হবে তা খুঁজে বের করতে হবে।
কাতারের প্রতি সমর্থন জানাতে আরব নেতারা যখন এক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছেন তখনই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কাতারের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্বৈত ভূমিকা নেওয়া বন্ধ এবং ইসরায়েলকে শাস্তি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
রোববার নেতানিয়াহু এবং রুবিও জেরুজালেমের পুরাতন শহরের পবিত্র স্থান পরিদর্শন করেছেন। সেখানে নেতানিয়াহু সাংবাদিকদের বলেছেন, মার্কিন-ইসরায়েল সম্পর্ক পশ্চিম প্রাচীরের পাথরের মতো টেকসই।
এই সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ইসরায়েল মাইক হাকাবি তাদের সাথে ছিলেন। রুবিও একটি নোট লিখেছেন এবং দেয়ালে সেটি সেঁটে দিয়েছেন। দর্শনার্থীরা সাধারণত এই ঐতিহ্যবাহী প্রথা পালন করে থাকেন।
তিনি কাতারে ইসরায়েলি হামলা নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন। নেতানিয়াহু এবং রুবিওর মধ্যে গাজা শহর দখলের ইসরায়েলি সামরিক পরিকল্পনা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বসতি সম্প্রসারণের বিষয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এসএস/এসএন