জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, ‘প্রশাসনের উচিত প্রার্থীদের প্রশ্নগুলো ক্ল্যারিফাই করা। তাহলেই এই ঝামেলাটা মিটে যাবে। কোনো বিশেষ দলের সহযোগিতায় হয়েছে কিনা প্রমাণ ছাড়া এই কথাটা বলা যাবে না। কিন্তু যেই প্রসঙ্গটা এসেছে এটা খুব এলার্মিং এবং উদ্বেগজনক।
রিটার্নিং কর্মকর্তার বক্তব্যে শুনলাম সেখানে তারা অস্বীকার করছেন। অন্যদিকে নীলক্ষেতে এটা ছাপানো হয়েছে মোটামুটি বোঝাই যাচ্ছে। যদি ওখানে ছাপানো হয় তাহলে এটা অস্বীকার করতে হচ্ছে কেন?’
সম্প্রতি এক টেলিভিশনের টক শোতে তিনি এসব কথা বলেন।
সারোয়ার তুষার বলেন, ‘ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে ৯৬ হাজার আর কাটিং করা হয়েছে ৮৮ হাজার।
এই প্রশ্নটা শিক্ষার্থীরাই তুলছেন মাঝখানে ৮ হাজার এই ব্যালট পেপার কোথায়? মানে এটা কাটিং করা হলো না কেন? মিসিং কেন? কই গেছে এটা? এটার উত্তর তো দিতে হবে প্রশাসনকে।’
তিনি বলেন, ‘এটা একটা সিরিয়াস অ্যালিগেশন এগেন্স দি এডমিনিস্ট্রেশন। যারা যারা হেভিওয়েট প্রার্থী ছিলেন ভিপি পদমর্যাদার তারা কাস্টিং ভোটের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু সেগুলো প্রশাসন করছে না।
এতদিন পর একটা ডাকসু হলো সেই ডাকসুতে যারা নির্বাচিত প্রতিনিধি তারাও চাইবেন না যে তাদেরকে ঘিরে কোনো বিতর্কিত একটা ব্যাপার তৈরি হোক। কিংবা বিতর্কিত কোনো নির্বাচনের মধ্যে তারা ক্ষমতায় থাকুক।’
তুষার আরো বলেন, ‘বিজয়ীদেরও এটা দাবি হওয়া উচিত যে, কাটিং পেপার এবং ব্যালট পেপারের মধ্যে এই গ্যাপটা কেন? তারপর সিসিটিভি ফুটেজ কোথায়? কাস্টিং ভোটের তালিকা প্রকাশ করতে সমস্যা কোথায়? যদি প্রকাশ নাও করেন প্রার্থী যারা আছে তাদের সামনে তো দেখাতে পারেন। এটা তাদের হক, যদি তারা দেখতে চায়।’
এসএন