দাদাগিরি নয় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় বিএনপি-এ কথা জানিয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে দলটি আন্তরিক।
সম্প্রতি নিউইয়র্কে দেশের একটি গণমাধ্যমকে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ইতিহাসের সবচেয়ে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক। ঢাকা-নয়াদিল্লির টানাপোড়েনের কারণ হিসেবে প্রতিবেশী দুই দেশের রাজনীতিকরাও দায়ী করছেন একে অন্যকে। বাংলাদেশের আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে এখন ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলো। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশের মনোভাব নিয়েও আলোচনা বেশ সরবও। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে জাতিসংঘ অধিবেশনে যাওয়ার সফর সঙ্গী হন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করেছে দিল্লি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ভোটারবিহীন প্রতিটি নির্বাচনকে সমর্থন করেছে তারা। এগুলোই তো ক্ষতি করেছে। ভারতেরও ক্ষতি হয়েছে এবং আওয়ামী লীগেরও ক্ষতি করেছে। কাউকে তাদের ক্ষতি করতে হয়নি। তারা নিজেদের ক্ষতি নিজেরাই করেছে। রাজনীতি থেকে সরে গিয়ে যখন আপনি ষড়যন্ত্রের দিকে যাবেন তখনই ক্ষতিটা হবে।
বিএনপি মহাসচিব মনে করেন, সম্পর্কের এই টানাপোড়েন কাটিয়ে উঠতে ভারতকেই এগিয়ে আসতে হবে। এটা নির্ভর করছে ভারতের উপর। তারা যদি চায়, শুধু বড় দাদা না হয়ে বন্ধু হবে তাহলেই হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ভারতসহ সবার সঙ্গে সুস্পর্ক চায় বিএনপি। এজন্য আন্তরিকতারও কোনো কমতি নেই। সকল দেশের সাথেই আমরা বন্ধুত্ব করতে চাই। এরইমধ্যে আপনারা দেখেছেন, আমরা বিভিন্ন দেশে আসছি যাচ্ছি। আর ভারতের সাথেও আমাদের একটা সুসম্পর্ক ছিল। এখন ভারতের ওপর নির্ভর করছে তারা কতদূর বিএনপির সাথে সম্পর্ক রাখতে চায় বলেন মির্জা ফখরুল।
দেশের স্বার্থ বিকিয়ে কারও সঙ্গে কোনো সম্পর্ক চায় না বিএনপি বলেও জানান বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক।
ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে বিএনপি যে আন্তরিক এটি আবারও পরিষ্কার করেছেন বিএনপি মহাসচিব।
এখন ভারত কতটুকু ইতিবাচকভাবে এগিয়ে আসবে সেদিকেই নজর দুদেশের মানুষের।
এমআর/টিকে