খাগড়াছড়ি সদরে সাম্প্রতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে জেলা সদরের স্টেডিয়াম মাঠে স্বনির্ভর বাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী ও অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার।
তিনি বলেন, সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে প্রশাসন সবসময় আছে। আপনাদের ক্ষতি পুরোপুরি পুষিয়ে দেওয়া না গেলেও এই অনুদান ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস জোগাবে।
এ সময় পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায় উপস্থিত ছিলেন।
মোট ২৭ জন ব্যবসায়ী ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে এ সহায়তা তুলে দেওয়া হয়। ডিসি বলেন, পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হচ্ছে। শিগগিরই ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হবে।
এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর গুইমারায় ক্ষতিগ্রস্ত রামসু বাজার পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সহায়তা দেয় জেলা প্রশাসন।
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ২৭ সেপ্টেম্বর অবরোধ চলাকালে সহিংসতার ঘটনা ঘটে এবং স্বনির্ভর বাজারে বাঙালি ব্যাবসায়ীদের দোকানে হামলা ও লুটপাট হয়। এর জের ধরে ২৮ সেপ্টেম্বর গুইমারায় ১৪৪ ধারা অমান্য করে সড়ক অবরোধ করতে গিয়ে সহিংসতায় জড়িয়ে পরে। এক পর্যায়ে রামসু বাজার এবং এর আশপাশের ৫টি সরকারি অফিস ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় গুলিতে তিনজন নিহত ও অনেকে আহত হন।
বর্তমানে খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে।
কেএন/টিকে