শনিবার রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভারতের উত্তরবঙ্গ। অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে পাহাড়ে। কোথাও সেতু ভেঙে পড়েছে, কোথাও ধসে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি-রাস্তাঘাট। এমন অবস্থায় দার্জিলিং ঘুরতে গিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি ওপার বাংলার অভিনেত্রী মানসী সেনগুপ্ত।
কার্শিয়ং থেকে তাকদা যাওয়ার পথে টানা ৯ ঘণ্টা রাস্তায় আটকে ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল তার ছয় মাসের পুত্র এবং পাঁচ বছরের কন্যা। তাকদা পৌঁছে হাড়হিম করা সেই অভিজ্ঞতার কথা একটি ভিডিও বার্তায় জানান এ অভিনেত্রী। সপরিবারে দার্জিলিংয়ে এয়ার বিএনবি’র এক স্টেকেশনে ছিলেন মানসী সেনগুপ্ত।
সেখান থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। তবে একাধিক রাস্তায় ধস নামায় আটকে গিয়ে প্ল্যানবদল করতে হয়!
মানসী বলেন, ‘আমরা কার্শিয়াং থেকে তাকদা যাচ্ছি। আমি জীবনে এত বৃষ্টি দেখিনি। কাল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, সেটাতে অসুবিধা নেই শীতের জায়গা। তবে তাকদা যাওয়ার পথে গত এক ঘণ্টা ধরে আটকে রয়েছি। রাস্তা পরিষ্কার হয়ে কখন পৌঁছব ঠিক নেই।’
এ সময় মানসীর কোলে ছিল ছয় মাসের পুত্র সন্তান। মেয়েও ছোট। বাচ্চার খাবার সঙ্গে থাকলেও প্রায় ৯ ঘণ্টা না খেয়ে পাহাড়ি রাস্তায় আটকে থাকতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। বিষয়টি কতটা গুরুতর প্রথমে তা আঁচ করতে পারেননি তিনি। পরে পরিস্থিতির কথা জানাতে সমাজমাধ্যমে দুটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন অভিনেত্রী। কিভাবে উদ্ধারকারী গাড়ি ধস সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করছে সেই দৃশ্য দেখা গেছে।
ইউটি/টিএ