২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগের অভিযোগ দ্রুত তদন্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক-১ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে সই করেছেন উপ-সচিব সাইয়েদ এজেড মোরশেদ আলী।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ১৪ জানুয়ারির নির্দেশনা অনুযায়ী বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জোরপূর্বক পদত্যাগের ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে যৌক্তিক অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিলো।
সে নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছিল, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মন্ত্রণালয় পরবর্তী নির্দেশনা দেবে এবং তদন্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালু থাকবে।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, অনেক প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক এখনো তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়ায় বেতন-ভাতা বন্ধ অবস্থায় আছে। ফলে অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের স্বার্থে সংশ্লিষ্টদের তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনাটি দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
এমআর/টিকে