রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পৃথক অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মো. সেলিমসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে মোহাম্মদপুরে পৃথক এ অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর বসিলা আর্মি ক্যাম্প। গ্রেপ্তাররা হলেন- ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মো. সেলিম (৫৫), সোহান (২৩) ও সৈয়দপুরিয়া নওশাদ (৩০)।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হারুনুর রশিদ নামে এক ব্যবসায়ীর বাসায় হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে চিহ্নিত সন্ত্রাসী সেলিমসহ তার সহযোগীরা। এ ঘটনার পর থেকে সেলিম ও সোহান পলাতক ছিল। তবে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মোহাম্মদপুর সেনাবাহিনী তাদের গতিবিধির উপর নজর রেখে শনিবার তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
সেনাবাহিনী আরও জানায়, চিহ্নিত সন্ত্রাসী সেলিম ও তার দলবল মূলত ফ্ল্যাট দখলের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ওই হামলা চালায়। ওই সময় প্রাণ বাঁচাতে বাসার নিচে থাকা নিজ অফিসে আশ্রয় নিলে সেখানেও ভুক্তভোগী হারুনুর রশিদকে গুরুতর আহত করা হয়। এ ঘটনায় গত ৬ আগস্ট সেনাবাহিনীর একটি দল সেলিমকে ধরতে তার বাসায় অভিযান চালায়। তবে সে সময় কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় সেলিম। ওই অভিযানে সেলিমের বাসা থেকে কিছু ধারালো অস্ত্র ছাড়াও ককটেল বোমা বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় ৬-৭টি মামলা রয়েছে।
অন্যদিকে মোহাম্মদপুরের তালিকাভুক্ত আসামি সৈয়দপুরিয়া নওশাদের বিরুদ্ধে প্রায় ২০টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৫-৬টিতে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি ওয়ারেন্ট রয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তার নওশাদ মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে পেট্রোলবোমা ও ককটেল বানানোর জন্য পরিচিত বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি সেলিম ও সোহানকে দীর্ঘদিন ট্র্যাক করে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট হওয়াতে সেলিম ও সোহানকে চিহ্নিত করতে সুবিধা হয়েছে। এছাড়া জেনেভা ক্যাম্পে পেট্রোলবোমা ও ককটেল বানানোর জন্য পরিচিত নাম সৈয়দপুরিয়া নওশাদ। তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জেনেভা ক্যাম্পে বোমা বিস্ফোরণ, মাদক ব্যবসা ও হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে নওশাদ জড়িত। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা এবং গ্রেপ্তারের ওয়ারেন্ট রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ইউটি/টিকে