গাজা যুদ্ধের স্থায়ী অবসান ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় মিশরে এক টেবিলে বসছেন বিশ্বনেতারা। সোমবার (১৩ অক্টোবর) দেশটির পর্যটন শহর শারম আল-শেখে হতে যাওয়া এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।
শনিবার (১২ অক্টোবর) মিশরের প্রেসিডেন্টের দফতর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই বৈঠকে বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশের নেতারা অংশ নেবেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বৈঠকের লক্ষ্য হলো গাজা উপত্যকার যুদ্ধের অবসান, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা জোরদার এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার নতুন যুগের সূচনা করা।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ইতালির জর্জিয়া মেলোনি, স্পেনের পেদ্রো সানচেজ ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এরইমধ্যে এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বা হামাসের কোনো প্রতিনিধি বৈঠকে থাকবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়।
সম্মেলনের ঘোষণা এসেছে এমন এক সময়ে, যখন ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণার পরই গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়া লোকজন আবার তাদের পুরোনো ঠিকানার উদ্দেশে পায়ে হেঁটে, গাড়িতে কিংবা গাধার গাড়িতে চড়ে ফিরে যাচ্ছেন।
গত কয়েক সপ্তাহের ভারি বোমাবর্ষণে এলাকাটি এমন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে যা সেখানকার মানুষ কল্পনাও করেননি। তবুও তারা নিজের এলাকায় ফিরে যাচ্ছেন।
প্রায় দুই বছর ধরে চলা গাজা যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে গত মাসের শেষের দিকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেন ট্রাম্প। এর সপ্তাহ খানেক পর গত ২৯ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন তিনি।
ট্রাম্পের ওই ২০ দফা প্রস্তাব নিয়ে গত সোমবার (৬ অক্টোবর) মিশরের পর্যটন শহর শারম আল–শেখে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরাইলের প্রতিনিধিদের পরোক্ষ আলোচনা শুরু হয়। টানা তিনদিনের মাথায় বুধবার (৮ অক্টোবর) দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া প্রস্তাবের প্রথম ধাপ মানতে সম্মত হয় দুই পক্ষ।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি অনুমোদন করে ইসরাইলি সরকার এবং এদিনই গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়েছে বলে জানায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ)।
কেএন/টিকে