ভারতের মনোরোগ সচেতনতার ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলেন দীপিকা পাডুকোন। বাংলাদেশ সময় সম্প্রতি জানা গেছে, ভারতীয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক তাঁকে দেশের প্রথম মানসিক স্বাস্থ্য দূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে শুধুমাত্র একজন অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং পুরো দেশের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
দীপিকা পাডুকোন, যিনি লাইভ লভ লাফ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক স্টিগমা দূর করার কাজ করছেন। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে নিজের নিযুক্তির খবর জানিয়ে তিনি বলেন, "আমি সত্যিই সম্মানিত বোধ করছি প্রথমবারের মতো মানসিক স্বাস্থ্য দূত হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায়। আমি বিশ্বাস করি, আমরা যদি একত্রিত হই, তবে একটি মানসিকভাবে সুস্থ ভারত গড়ে তোলা সম্ভব।"
দীপিকার স্বামী রণবীর সিং নিযুক্তির খবরে গর্ব প্রকাশ করে লিখেছেন, "অত্যন্ত গর্বিত।" অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা এই সহযোগিতাকে প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন, এটি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা স্বাভাবিক করতে এবং দেশের বিভিন্ন অংশে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার প্রবেশাধিকার বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
দীপিকার নেতৃত্বে জাতীয় উদ্যোগগুলো যেমন টেলি-মানাস (Tele-MANAS) মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সমর্থন ও সহায়তা পৌঁছে দিতে একটি নতুন পথ দেখাবে। এই নিযুক্তি শুধু ব্যক্তিগত মর্যাদার বিষয় নয়, এটি ভারতের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
টিকে/