চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেছেন, খুবই সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। শিক্ষার্থীরা সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে খুশি মনে ভোট দিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আবেগঘন উচ্ছ্বাস দেখে এতদিন যে কষ্ট আমরা করেছি, সেই কষ্টের ঘাম শুকিয়ে গেছে। আজকে চবি শিক্ষার্থীদের উৎসবের দিন, আনন্দের দিন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর ২০২৫) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন চবি উপাচার্য।
এদিন সকালে বিজ্ঞান অনুষদে ভোটগ্রহণ পরিদর্শন করেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন। এরপর তারা ধারাবাহিকভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং, কলা ও মানববিদ্যা, ব্যবসায় প্রশাসন ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদে পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন শেষে উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, প্রায় ৩৬ বছর পর চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর এ নির্বাচন হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ দেখে আমরা এ নির্বাচন আয়োজন করেছি। শিক্ষার্থীদের মুখে হাসি দেখে আমাদের আনন্দবোধ হচ্ছে।
উপাচার্য বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কয়েক স্তরে শিক্ষার্থীদের চেকিং করা হচ্ছে। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আশা করি নির্বাচনও সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে।
উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, চবি শিক্ষার্থীদের জন্য আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। আমরা দেখেছি শিক্ষার্থীরা ৯টার আগেই ভোটকেন্দ্রে চলে এসেছে ভোট দেওয়ার জন্য। তাদের আগ্রহ দেখে আমরা অভিভূত। আশা করছি সুন্দর, নির্ভেজাল একটি নির্বাচন শিক্ষার্থীরা উপহার পাবে। এ নির্বাচন সম্পন করার পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। সকলের সহযোগিতায় আশা করা যাচ্ছে দারুণ একটি নির্বাচন হবে।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, খুবই শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ-উদ্দীপনা দেখে সত্যি ভালো লাগছে। আমাদের পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সিভিল প্রশাসনের লোকবল রয়েছে। ক্যাম্পাসকে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকায়, শাটলের রেলস্টেশনগুলোতে, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের মূল জায়গাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী এবং সিভিল প্রশাসনের লোকজন রয়েছেন। এ নির্বাচন আমাদের সবার।